বাঘায় বোরো ধান আবাদে বিঘা প্রতি ফলন ৩২ দশমিক ৭৭ মণ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৩; সময়: ৭:৩২ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
বাঘায় বোরো ধান আবাদে বিঘা প্রতি ফলন ৩২ দশমিক ৭৭ মণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : সোনালি রঙে শোভা পাচ্ছে ধানের মাঠ। ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। উচ্চ ফলনশীল দেশী ধানের পাশাপাশি ‘রড মিনিকেট’ ধান এর আবাদ করে অধিক ফলন পাচ্ছেন কৃষক। ফলন নির্ণয়ে নমুনা শস্য কর্তন করে উচ্চ ফলনশীল দেশী ধানের চেয়ে ‘রড মিনিকেট’ ধান এর শুকনো ওজনে ফলন পাওয়া গেছে বিঘা প্রতি ৩২ দশমিক ৭৭ মণ। হেক্টর প্রতি ফলন ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ মেঃ টন। বিঘা প্রতি দেশিয় ব্রি-৭৪ এর শুকনো ফলন হয়েছে ২৫ দশমিক ৪১ মণ, (হেক্টর প্রতি ৭.৬২ টন) ব্রাক-২, ২৫ দশমিক ৩ মণ ( হেক্টর প্রতি ৭.৬ টন), ব্রি-২৮, ২৩ দশমিক ২ মণ। হেক্টর প্রতি ৬ দশমিক ৯৬ মেঃ টন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুর,নওটিকা, আরিফপুর ও বাউসা ইউনিয়নের তেথুলিয়া শিকদার পাড়া মাঠে আবাদ করা জমির ধান কেটে শুকনো ওজনে এ ফলন পাওয়া গেছে।

তেথুলিয়া শিকদার পাড়ার জালাল উদ্দীন জানান, স্থানীয়ভাবে ‘ রড মিনিকেট’ ধানের বীজ সংগ্রহ করে ২বিঘা জমিতে আবাদ করে বিঘা প্রতি ফলন পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৭ মণ ।‘ রড মিনিকেট’ ধানের বীজ ইন্ডিয়ান বলে জানান তিনি। নওটিকা গ্রামের বয়েজ উদ্দীন জানান,১৭ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৩বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ আবাদ করে ২৩ দশমিক ২ মণ ফলন পেয়েছেন।

চন্ডিপুর গ্রামের এনামুল হক জানান, ৪বিঘার মধ্যে ১বিঘা জমিতে ব্রাক-২ ধানের আবাদ করে বিঘা প্রতি ফলন পেয়েছেন ২৫ দশমিক ৩ মণ। আরিফপুর গ্রামের সেলিম হোসেন জানান,আড়াই বিঘা জমিতে ব্রি-৭৪ ও ১বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ ধানের আবাদ করেছেন। তিনি জানান,ফলন ভালো হলেও পানি না হওয়ায় সেচের অতিরিক্ত খরচ গুনতে হয়েছে তাদের।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, তেথুলিয়া শিকদার পাড়ার জালাল উদ্দীন নামের ১জন কৃষক ইন্ডিয়ান ‘রড মিনিকেট’ ধান এর বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করেছেন। শুকনো ওজনে ফলন পেয়েছেন বিঘা প্রতি ৩২ দশমিক ৭৭ মণ। উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৭৪, ব্রাক-২, ব্রি ধান-২৮, ধানের আবাদ করেও ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক। এসব ধান আবাদে সময় লেগেছে১৪০ থেকে ১৫০ দিন।

তিনি জানান, এই অর্থবছরে প্রণোদনা ও অন্যান্য কর্মসূচি আওতায় প্রায় ২০০০(দুই) হাজার জন কৃষককে উচ্চফলনশীল বোরো ধানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮৮৫ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৮৭০ টন বোরো ধান উৎপাদিত হয়।

২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্য মাত্রা ৮২০ হেক্টর ধরা হলেও বোরো আবাদ হয়েছে ৯৩২ হেক্টর জমিতে । উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৫ টন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এবার রোগ বালাই কম হওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে