সারের দাম বৃদ্ধি, কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩; সময়: ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ |
সারের দাম বৃদ্ধি, কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশের অর্থনীতির তিনটি মৌলিক শক্তি হলো কৃষি, গার্মেন্ট ও রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়)। কিন্তু বর্তমানে কৃষক বিপাকে। জ্বালানি তেলের পর দুই দফা সারের দাম বাড়ানোয় চরম হতাশায় তারা। কৃষি উপকরণসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় কোনো কোনো ফসলে উৎপাদন খরচ উঠে আসা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বেশি সমস্যায় বর্গাচাষিরা। কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে মাঠে রয়েছে ভুট্টা, পেঁয়াজ, মুগ, পাট, তিল, বাদাম, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি। এসব ফসলে সারের প্রয়োজন।

এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি একেবারে কম হয়। এতে সেচে ব্যয় বেড়েছে। এরপর রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট। এ অবস্থায় সারের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই কাম্য নয়। সবকিছু মিলে এবার কৃষি উৎপাদনে খরচ বাড়বে। এতে কৃষকদের একটি অংশ জমি আবাদ কমানোর কথা ভাবছে। এদিকে এমন একসময় সারের দাম বাড়ানো হলো, যখন বিশ্ববাজারে দাম কমেছে।

অর্থনীতিবিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী মৌসুমে চালসহ কৃষিপণ্য এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে। তবে কেউ কেউ বলছেন, উৎপাদন খরচ কিছুটা বাড়লেও খুব বেশি শঙ্কার কারণ নেই। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তরা বলছেন, দাম কিছুটা বৃদ্ধির কারণে জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহারের প্রবণতা কমবে।

প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে সারের দাম কেজিতে আরও ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে একজন কৃষককে প্রতি কেজি ইউরিয়া কিনতে হবে ২৭ টাকায়, ডিএপি ২১, টিএসপি ২৭ এবং এমওপি ২০ টাকা। এর আগে গত বছরের ২ আগস্ট ইউরিয়া সার কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ টাকা হয়েছিল।

এ হিসাবে ৮ মাসের ব্যবধানে কেজিতে বাড়ানো হয়েছে ১১ টাকা। শতকরা হিসাবে যা ৬৯ শতাংশ। তবে বিশ্ববাজারে কমছে সারের দাম। আলোচ্য সময়ে বিশ্ববাজারে সারের দাম ৪৭ শতাংশ কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতি টন ইউরিয়া সারের দাম ছিল ৬৭৮ মার্কিন ডলার। এ বছরের মার্চে তা কমে ৩১৩ ডলারে নেমে এসেছে।

সারের দাম বৃদ্ধিসংক্রান্ত সরকারি সার্কুলারেই বলা হয়েছে, গত আগস্টে সরকারকে প্রতি কেজি ইউরিয়া সার কিনতে হতো ৮১ টাকায়। আর সর্বশেষ সার্কুলারে বলা হয়, প্রতি কেজি ইউরিয়া সার সরকারকে ৪৮ টাকায় কিনতে হয়। বিশ্ববাজারে দাম কমায় স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে কমার কথা। কিন্তু দেশে উলটো দাম বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিয়েছে সরকার। এই ঋণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি কমানোর শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। সারের দাম বাড়ানোর এটি অন্যতম কারণ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হঠাৎ সারের দাম বাড়ানোয় কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাদের মতে, গত বছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি একেবারে হয়েছে। এতে সেচের ব্যয় বেড়েছে। এরপর রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট। এতে কৃষি উৎপাদনের খরচ বাড়বে। কৃষকদের একটি অংশ জমি আবাদ কমানোর কথা বলছে। অর্থনীতিবিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী মৌসুমে চালসহ কৃষিপণ্য এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পণ্যের দামে প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে কৃষিপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। তবে দেখতে হবে সারের কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ কতটা বাড়ে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে দাম বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বিকল্প কী করা যায়, সেটি ভেবে দেখা যেত। এমনিতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছিল। সেটি আরও বাড়বে। তিনি বলেন, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে সারের দাম বেড়েছে। এক্ষেত্রে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের কাছে বিকল্প ছিল ভর্তুকি বাড়ানো। বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনীতির যে অবস্থা, সেখানে ভর্তুকি বাড়ানো কঠিন।

এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫১৯ কোটি ডলারের সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় মুদ্রায় এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ইউরিয়া ১৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা, টিএসপি ৮ হাজার ৭৪৮ কোটি, ডিএপি ২১ হাজার ৬০ কোটি, এমওপি ৯ হাজার ৭৪৭ কোটি এবং এমএপি সার আমদানির ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি টাকা।

রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকদের অভিযোগ, এই এলাকায় সার বিতরণে কয়েক বছর ধরে বিশৃঙ্খলা চলছে। ডিলারদের একটা অংশ সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্য মানছে না। তারা ইচ্ছামতো দামে সার বিক্রি করেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোলাই গ্রামের কৃষক আকবর আলীর কয়েক বিঘা জমিতে বোরো ধান রয়েছে। কয়েকদিন পরই বোরোতে শিষ দেখা দেবে। তিনি জানান, রাজশাহী অঞ্চলে চলমান তীব্র খরার কারণে দুদিন পরপরই জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে জমিতে সারও দিতে হচ্ছে বেশি। অন্য এলাকার তুলনায় বরেন্দ্র এলাকার চাষিদের ধানচাষে খরচ কিছুটা বেশি। কারণ, এখানকার সব কৃষিপণ্য উৎপাদন সেচ ও সারের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। এখন আবার সারের দাম বাড়ার কারণে ধানসহ সব ফসল চাষে খরচ কিছু বাড়বে।

রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছির কৃষক আব্দুস ছামাদ জানান, জমিতে ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুতের সময়ই বিঘাপ্রতি ১০ কেজি ইউরিয়া এবং ১০ কেজি করে পটাশ ও টিএসপি সার দিতে হয়। ধানগাছের বয়স ২৫ থেকে ৩০ দিন হলেই কমপক্ষে ৫০ কেজি ইউরিয়া প্রয়োজন। এর সঙ্গে দিতে হয় আড়াই কেজি দস্তা। জমির ভাড়া, শ্রমিক, বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ও ফসল কাটা-মাড়াই বাবদ এই অঞ্চলের কৃষকের বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। নিজের জমি হলে এই খরচ কিছুটা কম। সারের দাম বৃদ্ধিতে এই খরচ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, বর্তমানে এক বিঘা জমি থেকে ২০ মন ধান হয়। বাজারে ১ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে ধান। ধানের ফলন ঠিক থাকলে এবং বাজারমূল্য থাকলে এক বিঘায় ২০ হাজার টাকার ধান পাওয়া যাবে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বস্তায় ২৫০ টাকা দাম বেড়েছে, এটা খুব বেশি না। কারও তেমন কোনো সমস্যা হবে না। যৌক্তিকভাবেই দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা যুক্তিসংগত। দাম বাড়ার কারণে একরকম ভালোই হয়েছে। কৃষক পরিমিত সার ব্যবহার করবেন।

রাজশাহী কৃষি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সামছুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধিতে কৃষি উৎপাদনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কারণ বাজারে ধানের দাম যথেষ্ট ভালো। তিনি আরও জানান, ধানের দাম ভালো হওয়ায় এবার রাজশাহী অঞ্চলের চার জেলায় বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ ভাগ বেশি হয়েছে।

কুষ্টিয়া সুগার মিলের ৫০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করেন কৃষক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, সারের দাম একলাফে বস্তায় ২৫০ টাকা বেড়েছে। এতে কৃষকের কষ্ট আরও বাড়বে। তার মতে, এমনিতেই সরকারি দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করেন ডিলাররা। এরপর দাম আরও বাড়ানো হলে চাষাবাদ ছেড়ে দিতে হবে। একই এলাকার কৃষক দুলাল বলেন, চাষে খরচ যেভাবে বেড়েছে, এরপর সারের দাম আরও বাড়লে কৃষিকাজ ছেড়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাই দায়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। ধানে থোড় (মুকুল) আসতে শুরু করেছে। এ বছর শ্রমিক বাবদ বাড়তি ছয় হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। এছাড়া অকস্মিকভাবে ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির কারণে বেকায়দায় পড়েছেন তিনি। জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত তিনবার ইউরিয়া ও পটাশ এবং তিনবার কীটনাশক দিতে হয়। এতে বিঘাপ্রতি শুধু সারের খরচ সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

দাম বৃদ্ধির ফলে নতুন করে আরও এক হাজার টাকা বেশি লাগবে। সদর উপজেলার কৃষক সেলিম আহমেদ বলেন, বর্তমানে আমরা ইউরিয়া সার ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে কিনছি। এরপর সরকার আরও ৫ টাকা বাড়িয়েছে। এখন সেই সার কিনতে হবে কমপক্ষে ৩০ টাকায়। প্রতি একর জমিতে ৫০ কেজি করে দুইবারে ১০০ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হয়। সেই হিসাবে প্রতি একর জমিতে ইউরিয়া সার কিনতে ৫০০ টাকা করে বেশি খরচ হবে। এর সঙ্গে তিনবারে এমওপি ও ডিএপি দিতে হয় আরও ১৪০ কেজি। এখানে বাড়তি লাগবে ৭০০ টাকা।

একই এলাকার কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর ৭ একর জমিতে ধানচাষ করে থাকি। সব মিলিয়ে ১ একর জমিতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ধান উৎপাদন হয় গড়ে ৫৫ মন। এই ধান বিক্রি করে ৭০ হাজার টাকাও পাওয়া যায় না। এর মধ্যে সারের দাম বাড়লে আমাদের লাভ কী থাকবে বুঝতেছি না।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, সারের দাম বৃদ্ধিতে কৃষিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। জমিতে অতিমাত্রায় সার ব্যবহারের প্রবণতা কমবে। বর্তমানে দেশে উচ্চফলনশীল জাতের ফসল চাষ করে চাষিরা ব্যাপক ফলন পাচ্ছেন। দাম ভালো পেলে কৃষক তেমন একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

বরিশাল সদর উপজেলার ৯ নম্বর টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের বারোইকান্দি গ্রামের কৃষক ফরহাদ হোসেন জানান, বর্তমানে খেতে মুগডাল, মরিচসহ বেশকিছু সবজি রয়েছে। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সবজির উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। মাসখানেক পর শুরু হওয়া আমন মৌসুমে চার একর (এক একর সমান ১০০ শতাংশ) জমিতে ধানচাষ করব। এবার সারের দাম বৃদ্ধির আগে থেকেই ধানচাষ করে ক্ষতিতে আছি।

এর মধ্যে সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ আরও বাড়বে। বাড়তি খরচের টাকা আবারও ঋণ করে মিটাতে হবে। লোকসান হলেও ছয় মাসের চালের বন্দোবস্ত করতে ধানচাষ করছি। তাই কৃষিকাজ করে লাভবান হতে আমন মৌসুমের আগেই সারের দাম কমানোর পাশাপাশি প্রণোদনার দাবি জানাচ্ছি।

বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের রামকাঠী গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা জানান, খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার বোরো ধান চাষ করিনি। ২২ টাকা কেজির ইউরিয়া সার এখন ২৭ টাকায় কিনতে হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির আগেই আমরা বিপাকে ছিলাম। এখন যে ফসল হয় তাতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে নিজের সংসার ব্যয় মেটাতে পারব না। তাই কৃষি ছেড়ে অন্য কাজ করার চিন্তা করছি।

বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের চর আইচার কৃষক লক্ষণ পাল জানান, আমি সব মৌসুমে চাষাবাদ করি। বর্তমানে আমার খেতে মুগডাল, লাউ ও পাটশাক রয়েছে। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব সবজিতে এরই মধ্যে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। আগে ২০ শতাংশ জমিতে ১৫ কেজি সার দিতাম, ফলনও খুব ভালো হতো। দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন একই জমিতে ১৫ কেজির পরিবর্তে ১০ কেজি সার দেব। এতে ফলন কম হলেও কিছু করার নেই।

বরিশাল খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুরাদুল হাসান জানান, সারের দাম বৃদ্ধির কারণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের বাজারমূল্যও বাড়বে। এতে চাষিরা ভালো দাম পাবেন। বর্তমানে কৃষককে বিনামূল্যে সার, বীজসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ বছর যেসংখ্যক কৃষককে প্রণোদনা দিয়েছি, তা দ্বিগুণ করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত বছরে দেশে মোট রাসায়নিক সারের চাহিদা নিরূপণ হয় ৫৯ লাখ ৩৪ হাজার টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ দশমিক ৫০ লাখ টন। এক্ষেত্রে দেশে উৎপাদন ৫০ শতাংশ। বাকি আমদানি করতে হয়। এছাড়াও টিএসপি চাহিদা ৭ দশমিক ৫০ লাখ, ডিএপি ৯ লাখ, এমওপি ৮ দশমিক ৫০ লাখ ও এমএপি শূন্য দশমিক ৫০ লাখ টন। অন্যান্য রাসায়নিক সারের মধ্যে জিপসাম ৪ লাখ টন, জিংক সালফেট ১ লাখ ৩৩ হাজার, অ্যামোনিয়াম সালফেট ১০ হাজার, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ৮০ হাজার ও বোরন ৪১ হাজার টন। অন্যদিকে এনপিকেএস ৭০ হাজার টন নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব সারে সরকার কৃষককে ভুর্তকি দিয়ে থাকে। সূত্র-যুগান্তর

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে