শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দুইপক্ষের অভিযোগ নিষ্পত্তি

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩; সময়: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ |
শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দুইপক্ষের অভিযোগ নিষ্পত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দুই পক্ষের অভিযোগ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন স্থানীয় নের্তৃবৃন্দ। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলামের সহযোগিতায় থানায় বসে সাহাবাজ আলী ও সাজেদুল ইসলামের মধ্যে বিবাদমান অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।

সোমবার (২৭ মার্চ) শালিসী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,বাঘা পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক,সাবেক পৌর মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, বাজুবাঘা নতুনপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আমিরুল ইসলাম শুকুর, সাধারন সম্পাদক, কামাল হোসেন, শিক্ষক বাবুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন, হামিদুল ইসলাম, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মিঞা, সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান, বাজুবাঘা নিবাসি ঠিকাদার আফাজ উদ্দীন, পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জুবাইদুল হক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। তারা দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিটের অভিযোগ করেন

জানা যায়,গত শুক্রবার (২৪মার্চ’২৩) জুম্মার নামাজের পর মসজিদের ভেতরে বসে কোন এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে অকঢ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল সাহাবাজ আলী। মসজিদের ভেতরে বসে এমনভাবে কথা বলতে নিষেধ করেন সাবেক কাউন্সিলর হামিদুল ইসলাম।

তার কথায় সন্মতি দিয়ে সাজেদুল ইসলামও বলেন, খারাপ ভাষায় কথা বললে বাইরে বলবেন, মসজিদের ভেতরে বসে বলবেন কেন?। এনিয়ে সাজেদুল ইসলামের সাথে সাহাবাজ আলীর সাথে কথাকাটা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক নিষ্পত্তি হলেও ওইদিন বাজুবাঘা নতুনপাড়া জামে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ে বের হবার পর পরই মসজিদ প্রাঙ্গনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাজেদুল ইসলাম ও তার ছেলে বাযোজিদ ইসলামকে মারপিট করে আহত করে সাহাবাজ আলীর লোকজন। পরেরদিন শনিবার(২৫ মার্চ’২৩) মাগরিব নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গন এলাকায় সাহাবাজ আলী ও তার ছেলে সৈকতকে মারপিট করে সাজেদুল ইসলামের লোকজন।

রেবাবার (২৬ মার্চ’২৩) সন্ধ্যার দিকে সাজেদুল ইসলামের মামাতো ভাই আব্দুল হামিদ মসজিদ প্রাঙ্গন এলাকার চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। এসময় সাহাবাজ আলীর ছোট ভাই বুলবুল হোসেন আব্দুল হামিদকে লাঞ্চিত করে। আব্দুল হামিদ জানান,তাকে মারার উদ্দেশ্য চায়ের দোকান থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল বুলবুল হোসেন। এসময় মিলিক বাঘার সেলিম ও বাজুবাঘার আলিমের বাঁধায় নিয়ে যেতে পারেনি। বুলবুল হোসেন জানান,মারামারি সাথে জড়িত ছিল কিনা জানার জন্য নিয়েছিলাম। মেজভাইকে জিজ্ঞাসা করে যখন জানলাম ছিলনা, তখন ছেড়ে দিয়েছি।

সাজেদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার আমি ও আমার ছেলে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর পরই হত্যার উদ্দেশ্যে সাহাবাজ আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে মারপিট করে। স্থানীয়দের বাঁধায় প্রাণে বেঁচে যায়।

সাহাবাজ আলী বলেন, সেই জের ধরে মাগরিব নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে মারপিট করেছে সাজেদুল ইসলামের লোকজন।

স্থানীয়ভাবে কথা বলে জানা যায়, সিনিয়রদের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে সাজেদুল ইসলামকে মারপিট করে জুনিয়র ছেলেরা। যার জের ধরে সাহাবাজ আলীকেও মারপিট করা হয়েছে। এর পরেও প্রতিশোধ মূলক আচরনে আব্দুল হামিদকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। কারো উস্কানিমূলক কথায় এধরনের কাজ করা ঠিক হয়নি। প্রথমত সাজেদুলকে মারপিট না করলে পরের ঘটনা ঘটতোনা।

মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গ্রামে শান্তি শৃঙ্খলার জন্য বিষয়টি নিস্পতি করা হয়েছে।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোন পক্ষ আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থাী কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দু ’পক্ষই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পরবর্তীতে তারা আর এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়াবেনা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে