শিবগঞ্জে যুবকের কবজি কর্তনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩; সময়: ৯:০৫ অপরাহ্ণ |
শিবগঞ্জে যুবকের কবজি কর্তনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আপন মামির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে রুবেল আলী (২৮) নামে এক যুবকের হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তি উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়ালাবাড়ি গ্রামের মৃত আয়েশ মন্ডলের ছেলে মোশারফ হোসেন (৪৯)।

বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জুবায়ের আহাম্মদ জানান, আহত রুবেলের ছোট ভাই আবদুর রাকিব বাদি হয়ে রাতেই দশজনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি মোশারফকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যহত আছে।

এদিকে রুবেলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি আবদুর রাকিব।

প্রসঙ্গত, একই ইউনিয়নের ধোবড়া এলাকার এমেলি খাতুন নামে এক গৃহবধূর সাথে রুবেলের পরকীয় সম্পর্ক ছিল। এটি মেনে নিতে পারেনি এমেলির পরিবার। এরই জেরে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুবেল ট্রলিভর্তি গম নিয়ে ধোবড়া যাচ্ছিল। এ সময় কলেজ পাড়া এলাকায় পৌঁছালে এমেলির পরিবারের লোকজন গাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গোড়াদহ বিলে শরীরের বিভিস্থানে আঘাত করে ডান হাতের কবজি কেটে ফেলে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিবগঞ্জে সালিশে যুবককে পেটালেন কাউন্সিলর

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালিশ বৈঠকে নিয়াম আলী (৩৩) নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করেছেন কাউন্সিলর সাদেকুল ইসলাম সাদেক। তিনি শিবগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। আহত যুবক পৌর এলাকার দৌলতপুর হাজীপাড়া মহল্লার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ নিয়ে বুধবার সকালে আহত যুবক বাদি হয়ে কাউন্সিলরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে দৌলতপুর হাজীপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিয়াম আলীর পারিবারিক কলহে দৌলতপুর হাজীপাড়া মহল্লায় সালিশ বসে। এ সময় পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে অশ্লীল ভাষা গালাগাল করতে থাকেন কাউন্সিলর সাদেকুল, জাহাঙ্গীর, বাহারুল, সাহারুলসহ ৬-৭ জন্য ব্যক্তি। এক পর্যায়ে সাদেকুল ইসলাম লাঠি দিয়ে নিয়ামকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এ সময় নিয়ামের বোন মোস্তারী, মমতাজ ও স্ত্রী আদরী বেগমকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়। স্থানীয়রা আহত নিয়ামকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর ও বাহারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের মন্তব্য মেলেনি। যদিও কাউন্সিলর সাদেকুল ইসলাম সাদেক বলেন, নিয়াম গালাগাল করায় তাকে দুটি থাপ্পড় দিয়েছি মাত্র। পরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের গন্ডগোলে তিনি আহত হন। শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে