সমস্যা সমাধানে হাত দিতে হবে

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩; সময়: ২:১৫ অপরাহ্ণ |
খবর > মতামত
সমস্যা সমাধানে হাত দিতে হবে

পলাশ আহসান: হিরো আলম সম্পর্কে সোস্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখবো না ভেবেছিলাম। দাঁতে দাঁত চেপে বসে ছিলাম। কিন্তু আর পারা গেলো না। প্রিয় অভিনেতা, লেখক মামুন ভাই আমাকে লিখতে বাধ্য করলেন। এখন মনে হচ্ছে হিরো আলমকে নিয়ে অসহিষ্ণুতা বহুদুর গেছে। আমি নিজেও মনে মনে বিরক্ত। কিন্তু প্রকাশ করনি। কারণ আমাদের ইন্টারনেট চর্চা অবাধ। এখানে যা খুশি তাই করা যাবে। সেটা পছন্দ বা অপছন্দও করা যাবে। সুতরাং একজন হিরো আলম বের হয়ে আসবে, এতে অবাক হওয়ার কী আছ?

আমার বেশিরভাগ লেখায় নিউটনের দ্বিতীয় সুত্রের কথা বলি। অবাধ ইন্টারনেট ব্যবস্থার মত ক্রিয়া থাকবে কিন্ত হিরো আলমের প্রতিক্রিয়া থাকবে না সেটা কী করে হয়? সমস্যা এই সহজ সত্যটা বুঝতে না পারা। আমারতো মনে হয় রাস্তার মোড়ে মোড়ে হিরো আলম দাঁড়িযে থাকা উচিত ছিল। কপাল ভাল হয়নি।

হিরো আলম যা সব করে, তা কিছু লোকের রুচির সঙ্গে ম্যাচ করে না। আবার কিছু লোকের খুব ভাল লাগে। যাদের ভাল লাগে তারা ঝাপিয়ে পড়ুন। তাদের পছন্দ নয় তারা এড়িয়ে যান। দেখা যাক কত মানুষ হিরো আলমের রুচির কত মানুষ ভিন্ন । হিরো আলমের মত বেশি হলে আমরা তার মত হবো । আর না হলে আমরা আমাদের মত হবো।

আমি আসলে বলতে চাই হিরো আলম কোন এক জন ব্যক্তি নয়। তিনি সময়ের সন্তান। তিনি কী বোঝেন তাতো আমরা বুঝি। তিনি মনে করেন, তার গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর ঠিক ঠাক। তিনি যা বলছেন তা সব অতি উচ্চ মার্গীয়। তার চিৎকারগুলো অনলবর্ষী। এসব চিন্তা থেকে সরে আসার ভাবনায় তিনি কী যেতে পারবেন? সেই শিক্ষা কী তার আছে? সুতরাং তাঁকে তার চিন্তায় থাকতে দিতে হবে। বাকি সিদ্ধান্ত মানুষই নেবে ।

এখন কয়েকটি প্রশ্নের জবাব পাওয়া দরকার । যেমন বর্তমানে আমরা কতটা শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা করতে পারছি? আজকের আকাশ সাংস্কৃতিতে ঢোকার আগে আমারা কী সংস্কৃতি চর্চার অবকাঠামো নিয়ে ভেবেছিলাম? তখন কী সংস্কার করার দরকার ছিল না ? ঠিকঠাক চর্চা যে হচ্ছে না সেটা হিরো আলমদের কথিত উত্থানে বোঝা যায়। আগ্রাসন কিন্তু সংসদের কাছাকাছি এসেছিল। এখনো ঠিক হয়নি অপসংস্কৃতি কী ভাবে রুখতে হবে। তাহলে এভাবে চলুক কী বলেন ?

লেখক- গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে