তারাবির নামাজ পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩; সময়: ১০:৪৭ অপরাহ্ণ |
তারাবির নামাজ পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : বাঘায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাজেদুল ইসলাম ও তার ছেলে বায়োজিদ ইসলামকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৪-০৩-২০২৩) তারাবির নামাজ শেষে বাজুবাঘা নতুন পাড়া মসজিদ প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার তারাবাবির পড়ে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে সাজেদুল ইসলাম ও তার ছেলে বায়োজিদ ইসলাম। এ সময় একই গ্রাামের মৃত ইনছারের ছেলে সাহাবাজ আলীর নেতৃত্বে তার সহোদর ভাই এবং নিজের ও সহোদর ভাইয়ের ছেলে সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাজেদুল ইসলাম ও তার ছেলে বায়োজিদ ইসলামকে মারপিট করে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সাজেদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদের ভেতরে বসে মোবাইল ফোনে কোন এক ব্যক্তির সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে অকঢ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল সাহাবাজ আলী। মসজিদের ভেতরে বসে এমনভাবে কথা বলতে নিষেধ করি। এতে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় সাহাবাজ আলী। তার কথার প্রেক্ষিতে আমিও রাগান্বিত হয়ে কথা বলি। মসজিদের মুসল্লীরা বিষয়টি তাৎক্ষনিক ফয়সালা করে দেন। বাড়িতে চলে এসে পরে আমি ও আমার ছেলে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর পরই হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে। স্থানীয়দের বাঁধায় প্রাণে বেঁচে যায়।

সাহাবাজ আলী বলেন,অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে নিতে চাই। মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মুসল্লীরা মিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর মাঝেই পেছন থেকে মারপিট করেছে।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান,ঘটনার জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে