শ্মশান ঘাটে পানির অভাব, শবদেহ সৎকারে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩; সময়: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ |
শ্মশান ঘাটে পানির অভাব, শবদেহ সৎকারে দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা  : নওগাঁর মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর মহাশ্মশান ঘাটে পানি না থাকায় শবদেহ সৎকারে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন শ্মশানের আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন। পানির অভাব দূর করতে শ্মশান সংলগ্ন খালটি সংস্কারসহ পুনঃখননের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শ্মশানের কোল ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি খাল রয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এটি ভরাট হয়ে গেছে। পুরো বছর জুড়েই কচুরিপানা আর ঝোপ-জঙ্গলের দখলে থাকে খালটি। এটি খনন করা হলে পানির অভাব দূর হবে। শবদেহ সৎকারে আর দুভোর্গে পোহাতে হবে না।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সতিহাটের একটু পশ্চিমে শ্রীরামপুর মৌজায় মহাশ্মশানটির অবস্থান। অতি পুরাতন এ শ্মশানে শ্রীরামপুর, মিরপুর, গনেশপুর, গোবিন্দপুর, ভেবড়া, মৈনম, রায়পুর, কচুকড়ি ও কৃষ্ণ গোপালপুর গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের সৎকার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু সৎকারের পর এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পানি পাওয়া যায় না। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন শবদেহ সৎকার করতে আসা লোকজন।

শ্রীরামপুর গ্রামের তপন কুমার সরকার বলেন, শ্রীরামপুর মৌজায় অবস্থিত একমাত্র মহাশ্মশানটি অন্তত ১০ গ্রামের সনাতন ধর্মের লোকজন শেষকৃত্য কাজে ব্যবহার করেন।

মরদেহ সৎকারের পর শ্মশান ঘাট পরিষ্কার, স্নান, পিণ্ডদানসহ বিভিন্ন আচারিক অনুষ্ঠান করতে হয়। এসব কাজে মুক্তজলের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ঘাট এলাকায় জল না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গনেশপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক রাম চন্দ্র মণ্ডল বলেন, দাহকাজ নির্বিঘ্ন করতে শ্মশান ঘাট এলাকায় প্রচুর মুক্তজলের প্রয়োজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালটি খনন করা হলে ঘাট এলাকায় জলের অভাব আর থাকবে না। অবিলম্বে খালটি খননের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে