রমজান মাসে যেমন থাকতে পারে আবহাওয়া

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩; সময়: ১০:১০ অপরাহ্ণ |
রমজান মাসে যেমন থাকতে পারে আবহাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, এ মাসে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আর এই তাপমাত্রা গতবারের এ মাসের চেয়ে তীব্র হতে পারে। আর এ মাসেই দেশে দুই থেকে তিনটি মাঝারি আকারের এবং এক থেকে দুটি তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে।

ফাল্গুনের শেষ সময়ে এসে অর্থাৎ মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশের কয়েকটি স্থানে মৃদু দাবদাহ শুরু হয়েছিল। তবে এই দাবদাহ বেশি দিন টেকেনি। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। অনেক স্থানে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। গত শনিবার থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এ ধারা এখনো অব্যাহত। এরই মধ্যে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, রমজান মাসের অর্ধেক সময় আবহাওয়া মোটামুটি সহনীয় থাকবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

সপ্তাহখানেক ধরে বৃষ্টিবাদলার মধ্য দিয়ে গেলেও গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এমন অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন বাড়তে থাকবে। তবে তা অসহনীয় হবে না। আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার আবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সেটা দুই-এক দিন চলবে। এতে তাপমাত্রা কমতে পারে।

সোম বা মঙ্গলবারের বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমলে পরিস্থিতি খানিকটা সহনীয় হয়ে উঠবে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়া এমন থাকতে পারে বলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান।

তিনি বলেন, সে অনুযায়ী ধরে নেওয়া যায়, রমজান মাসের অর্ধেকটা সময় আবহাওয়া মোটামুটি সহনীয় থাকবে। এরপর গরম বাড়তে পারে।

শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। এর আগে রোববার থেকে যে বৃষ্টি হয়েছিল, তার সঙ্গে এ সময়ের স্বাভাবিক কালবৈশাখীর মিল ছিল না বলে জানান আবহাওয়াবিদ উমর ফারুক।

তাঁর মতে, শুক্রবার ঢাকায় যে বৃষ্টি হয়েছে, তার সঙ্গে কালবৈশাখীর সময় হওয়া বৃষ্টির মিল ছিল। কালবৈশাখীর বৈশিষ্ট্য হলো, আকাশ রোদেলা থাকবে এরপর মেঘ ও বৃষ্টি হবে। কিন্তু কদিন আগে যা হলো, তখন একনাগাড়ে আকাশ মেঘলা ছিল। আর তার প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ উমর ফারুক মনে করেন, সামনে কালবৈশাখীর পরিমাণ বাড়বে। আর সামনের সোমবার বা মঙ্গলবারের বৃষ্টির পর আবহাওয়া খানিকটা সহনীয় হবে বলেও ধারণা তাঁর।

শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ভোলায়, ১২ মিলিমিটার।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে