অস্ট্রেলিয়ান নায়িকার সঙ্গে হোটেলে যাওয়ার পথে অজ্ঞান হয়ে যাই: শাকিব

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩; সময়: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ |
অস্ট্রেলিয়ান নায়িকার সঙ্গে হোটেলে যাওয়ার পথে অজ্ঞান হয়ে যাই: শাকিব

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : চাঁদা দাবি, হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খান। রেনেসা সাবরিন নামে অস্ট্রেলিয়ান এক নায়িকার সঙ্গে এক রাতের ঘটনায় শাকিবকে ব্ল্যাকমেইল করেন রহমত উল্লাহ।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে মামলাটি করেন শাকিব।

মামলার অভিযোগে শাকিব খান উল্লেখ করেছেন, চার বছর আগে চিত্রনায়ক শাকিব খান বাংলা সিনেমা ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামক ছবিতে অভিনয় করতে চুক্তিবদ্ধ হন। এ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে শিবা আলী খানকে মনোনীত করা হয়। এ ছবির শুটিংয়ের জন্য ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া যান। শিবা আলী খান ভিসা জটিলতার জন্য শুটিং করতে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেননি। তার জায়গায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান রেনেসা সাবরিনের সঙ্গে শাকিবকে অভিনয় করার প্রস্তাব দেন রহমত উল্লাহ। তবে শাকিব তার ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে বিষয়টি নাকচ করে দেন।

কিন্তু তাকে ফাঁদে ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্র করেন রহমত উল্লাহ। এরই ধারাবাহিকতায় শাকিবের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। পরে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া গেলে রিফ্রেশমেন্টের জন্য শাকিবকে একটি ক্লাবে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করেন। শাকিব রাজি হয়ে একদিন শুটিং শেষে আসামির সঙ্গে ক্লাবে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার পানীয় পান করেন শাকিব খান। একপর্যায়ে অসুস্থবোধ করলে তিনি হোটেলে ফেরত আসতে চান। তবে সেই সময় রহমত উল্লাহ ও তার সঙ্গীদের কাউকে খুঁজে না পেয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রেনেসা সাবরিনের কাছে বিদায় নিয়ে হোটেলে ফিরতে চান।

তখন গভীর রাত হওয়ায় রেনেসা সাবরিন বলেন, ‘আপনি যেহেতু অসুস্থবোধ করছেন, তা হলে আমি আপনাকে হোটেল রুমে পৌঁছে দিয়ে আসি।’ শাকিব অনেকটা নিরুপায় হয়ে তার প্রস্তাবে রাজি হন এবং হোটেল রুমে যেতে ক্লাব থেকে বের হন। হোটেলে ফেরার সময় বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অজ্ঞান হয়ে পড়েন শাকিব।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর দিন সকালে আসামি রহমত উল্লাহ শাকিবকে ফোনে জানান যে, ‘তুমি রাতে ওই নারীর সঙ্গে কী করেছ সবকিছুর ভিডিও ক্লিপ আমার হাতে। তুমি যদি আমাকে এক লাখ ডলার চাঁদা না দাও তা হলে সব ভিডিও ক্লিপ এবং রেনেসা সাবরিনকে নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে তোমার নামে অভিযোগ করব। তা হলে তুমি বাংলাদেশে যেতে পারবে না।’ এই রকম বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হলে একপর্যায়ে শাকিব ভয় পেয়ে যান। শাকিব ভয়ে এবং তার ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক সমস্যার কথা চিন্তা করে আসামি রহমত উল্লাহকে ৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার দেন। পরে আসামি রহমত উল্লাহ তাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মোট ৪০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন।

এর পর আর চাঁদা দিতে না পারায় শাকিবকে জানানো হয় যে, তোমার নামে অস্ট্রেলিয়ায় অভিযোগ করা হয়েছে। চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দিলে আসামি রহমত উল্লাহ বিভিন্ন জায়গায় যেমন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং শাকিবের পরিবারের সদস্যদের কাছে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটাতে থাকেন। এর পর ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ রহমত উল্লাহ চিত্রনায়ক শাকিব খানের কাছে এক লাখ ডলার চাঁদা দাবি করেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে