দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে ইউরোপে এক চতুর্থাংশ শিশু

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩; সময়: ১:০৮ pm |
দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে ইউরোপে এক চতুর্থাংশ শিশু

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিপুলসংখ্যক শিশু দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়েছে বলে উঠে এসেছে সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে।

সাম্প্রতিক এই প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে প্রায় দুই কোটি শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।

এতে বলা হয়, ওই অঞ্চলে প্রতি চারজন শিশুর মধ্যে একজন দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে আছে, যার অন্যতম কারণ হচ্ছে কোভিড মহামারি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

বিষয়টিকে “বিধ্বংসী এক সংখ্যা” বলে আখ্যা দিয়েছেন সেভ দ্য চিলড্রেন জার্মানির শিশু দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য বিষয়ক অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার এরিক গ্রসহাউস।

সমগ্র ইউরোপের তুলনায় জার্মানিতে শিশুদের অবস্থা কিছুটা ভালো। জার্মানিতে পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে দেশটিতে ২০ লাখেরও বেশি শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে ছিল।

তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ডের শিশুরা সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে, সেখানে দারিদ্র্যের ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে ১৩.৩% শিশু।

অন্যদিকে, স্পেন ও রোমানিয়ায় এই হার সবচেয়ে খারাপ। স্পেনে ৩৩.৪% ও রোমানিয়ার ৪১.৫% শিশু দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে রয়েছে।

২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইউরোপের ১৪টি দেশ থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন দাতা সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেস যুদ্ধের কারণে দুধ, সিরিয়াল এবং রান্নার তেলের মতো মৌলিক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির ফলে ইউরোপে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলো বেশি ঝুঁকিতে আছে।

অভিবাসী, শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী, কাগজপত্রবিহীন ও পরিবার নাই এমন শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একক-পিতা-মাতা পরিবারে বসবাসকারী শিশু, সুবিধাবঞ্চিত পরিবার, প্রতিবন্ধী ও জাতিগত সংখ্যালঘু শিশুরাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ইউরোপের পরিচালক ইলভা স্পারলিং বলেন, “কোনো শিশুকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় স্কুলে যেতে দেওয়া, হিটারবিহীন ঘরে রাখা কিংবা বাবা-মায়ের চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকা উচিত না।

তবে এর পরেও ইউরোপে শিশুদের এমন অবস্থার মধ্য থাকতে হচ্ছে। তাই সময় এসেছে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়ার, যেন বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুদের ঝুঁকি কমিয়ে তাদের সব ধরনের সুরক্ষা দেওয়া যায়।”

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
topউপরে