গুলিস্তানের ভবনের মালিক দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৩; সময়: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ |
গুলিস্তানের ভবনের মালিক দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের মালিক দুই ভাই ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বিস্ফোরণের পরদিন বুধবার (০৮ মার্চ) ভবনের মালিক দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খ মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা তাদের কাছে ভবন নির্মাণে অনুমতি, ভাড়াটিয়া কতজন, কোথায় সেফটিক কিংবা রিজার্ভ ট্যাংক আছে, বেজমেন্ট এলাকায় ভাড়া দেওয়ার বৈধতা বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, তাদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হওয়া সাততলা এই বাণিজ্যিক ভবনটির মালিক ছিলেন রেজাউর রহমান। এক সময় তিনি ক্যাফে কুইন নামে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন এই ভবনে, সেজন্য স্থানীয়রা ভবনটি ক্যাফে কুইন বিল্ডিং নামে চেনে। রেজাউর অনেক দিন আগে মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এখন তার তিন ছেলে এর মালিক। মশিউর রহমান নামে এক ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ওয়াহিদুর এবং সবার ছোট মতিউর ঢাকায় থাকেন। তারাই ভবনের দেখাশোনা করেন।

তাদের ছাড়াও ভবনের ভাড়াটিয়াসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন বলেন, রাজউক, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।

তিনি আরও বলেন, তারা যদি প্রতিবেদন দেয় ভবনটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল, ভবন মালিকদের গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে যে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, সেই মামলাটিতে ধারা পরিবর্তন হবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। পরে সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ঘটনার দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। এরপর বুধবার আবারও দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক। পাশাপাশি এখনো কয়েকজন নিখোঁজ আছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে