রাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর অর্ধেকে নামল হল ফি

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩; সময়: ১১:১৭ অপরাহ্ণ |
রাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর অর্ধেকে নামল হল ফি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলে প্রথম বর্ষের ভর্তি ফি ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৮০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল সম্প্রতি। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।

এরপর সেই ফি ১ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ সৈয়দা নুসরাত জাহান বলেন, সব হলের প্রাধ্যক্ষ মিলে আজ উপাচার্যের সঙ্গে বসেছিলেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বর্ধিত ফি এককালীন ১ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে এই ফি দিয়ে হলে ভর্তি হতে পারবেন। আর যাঁরা বর্ধিত ফি দিয়ে ইতিমধ্যে ভর্তি হয়েছেন। তাঁরা হলে গিয়ে রিসিট দেখিয়ে জমা দেওয়া বাকি টাকা তুলে নিতে পারবেন।

কোন খাতে টাকা কমানো হয়েছে, জানতে চাইলে সৈয়দা নুসরাত জাহান বলেন, নতুন করে তৈরি করা ‘হল সংযুক্তি’ খাতের এক হাজার টাকাসহ সাধারণ খাতের কিছু ক্ষেত্রে টাকা কমানো হয়েছে।

হলে থোক বরাদ্দের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তাঁরা সব সময়ই বলে থাকেন। কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশে সর্বত্র ব্যয় কমানো হয়েছে।

হলের প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হল সংযুক্তি দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট হলে ভর্তি হতে হয়। এ সময় হলের বিভিন্ন খাতে এককালীন একটা ফি দিতে হয়। যদিও এই টাকা দিয়ে হল সংযুক্তি পেলেও হলে সিট বরাদ্দ নিশ্চিত হয় না। এবারই প্রথম একযোগে প্রতি হলে এই ফি ২ হাজার ৮০০ টাকা আদায় করা হচ্ছিল।

এটাকে ‘অযাচিত’ দাবি করে রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। ‘স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’ নামের সংগঠনের আয়োজিত কর্মসূচিতে তাঁরা ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ জানান। তাঁরা আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ফি কমানোর আলটিমেটাম দেন।

বাধ্য হয়ে হলে ভর্তি ফি বাড়িয়েছেন উল্লেখ করে হল প্রাধ্যক্ষরা জানিয়েছিলেন, হলগুলোয় কর্মচারী সংকট রয়েছে। প্রতি হলে অস্থায়ী কর্মচারী রাখা হয়েছে। হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এই টাকা থেকে তাঁদের বেতন দিয়ে থাকেন। এতে টান পড়ে যায়। শিক্ষার্থীদের ভালো সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছেন না। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁরা থোক বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব মুজাহিদ হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাধ্যক্ষদের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। তাঁরা এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। তিনিও চান, হলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বরাদ্দ দেওয়া হোক।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে