ক্যানোলা খুলতে গিয়ে শিশুর আঙ্গুল কেটে ফেললো আয়া

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩; সময়: ১২:৩৫ অপরাহ্ণ |
ক্যানোলা খুলতে গিয়ে শিশুর আঙ্গুল কেটে ফেললো আয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২৩ দিনের শিশুর ক্যানোলা খুলতে গিয়ে হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে নার্স এর কাজ আয়া করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুর নাম মিষ্টি পাল। তার বয়স ২৩ দিন৷ বাবার নাম চন্দন পাল। তাদের বাড়ি জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ গ্রামে।

অভিযুক্ত আয়ার নাম আঞ্জুয়ারা খাতুন বলে জানা গেছে। তার বাড়ি সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকায়। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

শিশুটির পিতা চন্দন পাল জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে তার তেইশদিনের শিশু মিষ্টি পালকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওর্য়াডে ভর্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) সকালে শিশুটির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সেদিন দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। এমন সময় নার্সের পরিবর্তে শিশুটির হাতে লাগানো ক্যানোলা খুলতে যান আঞ্জুয়ারা খাতুন নামের এক আয়া। ক্যানোলা কাটতে গিয়ে শিশুটির ডান হাতের একটি আঙুল কেটে ফেলেন এই আয়া। শিশুটির চিৎকারে ছুটে আসে আশপাশের রোগীর লোকজন। তখন সুযোগ বুঝে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ওই আয়া।

শিশুটির পিতা চন্দন পাল অভিযোগ করে বলেন, নার্সের কাজ কিভাবে একজন আয়া করলো। একজনের ভুলে একটি শিশুর অঙ্গহানী মেনে নেয়া কঠিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তব্যরত কয়েকজন নার্স ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও, দায়িত্বে অবহেলার দায় না নিয়ে অভিযুক্ত আয়ার ওপরই দোষ চাপান তারা।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। কিভাবে, কার অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটলো তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনার পর অভিযুক্ত আয়া আঞ্জুয়ারা খাতুন পলাতক রয়েছে৷

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাতের তিনটি আঙুল হারায় ১৩ মাস বয়সী শিশু তাছিম।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে