আখেরী মোনাজাতে শেষ হলো এনায়েতপুরী (রঃ) ১০৮তম ওরশ

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩; সময়: ৩:০৬ অপরাহ্ণ |
আখেরী মোনাজাতে শেষ হলো এনায়েতপুরী (রঃ) ১০৮তম ওরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : আখেরী মোনাজাতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অগ্রগতিসহ বিশ্ব মানবতার মঙ্গল কামনা করে দেশ-বিদেশের লাখো-লাখো মুসুল্লীর আমিন-আমিন ধ্বন্নির মধ্যে দিয়ে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলিয়ে কামেল সিরাজগঞ্জের হযরত শাহ সুফী খাজা বাবা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রঃ) ওরশ সমাপ্ত হয়েছে।

৩-দিন ব্যাপী ১০৮ তম বাৎসরিক ওরশ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় দরবার শরীফের সাজ্জাদ্দানিশীন পীর হযরত খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার পরিচালনায় আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) এর আওলাদ গন, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সহ গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তিরা অংশ নেন।

বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফে ৩ দিন আগে থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মীয় মহাসমাবেশ হামদ্-নাথ, ঝিকির-আজগার, ধর্মীয় আলোচনা সভায় মুখোরিত ছিল পুরো এলাকা।

শুক্রবার বাদ ফজর খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) এর মাজার জিয়ারত সহ নানা আনুষ্ঠানিকতার পর শুরু হয় এই আখেরী মোনাজাত।

মোনাজাতে সাজ্জাদ্দানিশীন পীর হযরত খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়া বলেন, ভাল কাজই হচ্ছে মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির পথ। পাপাচার পরিহার করে শান্তির ধর্ম ইসলামের আদর্শ লালন করতে হবে। সব রকম হিংসা বিদ্বেষ পরিহার করে ধর্মের বিধিবিধান মেনে চলার বিকল্প কোন পথ নেই। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উম্মত হিসেবে তার আদর্শ অনুসরণই হচ্ছে সর্বত্তম পন্থা।

পাশাপাশি খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) এর শান্তি ও মানবিকতার পথ হৃদয়ে লালন করতে আদব, বুদ্ধি, মোহাব্বত ও সাহস অনুসরন করবো। অল্প আহার-অল্প নিদ্রার জীবন গড়বো ও পরনিন্দা মুক্ত থাকবো। তবেই মুক্তি, তবেই কল্যাণ।

এতে ভারতের আসাম, এ দেশীয় বসবাসরত ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য অন্যান্য দেশ সহ সারা দেশের প্রতিটি-জেলা ও উপজেলার ধর্মপ্রাণ লাখ-লাখ মুসুল্লীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে তাদের বিদায় দেয়া হলে বহর নিয়ে নিজ-নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আর এভাবেই শেষ হয় ২০২৩ সালের ওরশ সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফে ভারতের প্রখ্যাত তার পীর খাজা সৈয়দ ওয়াজেদ আলী মেহেদী বাগী (রঃ) এর নির্দেশে ১৯১৬ সালে অনুসারীদের নিয়ে ধর্মীয় ঝিকির-আজগার, আলোচনা, হাম্দ-নাত, গজল পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে ইসলামের আদর্শে জীবন পরিচালনার আহবানের ওরশ মোবারক শুরু করেন। এক পর্যায়ে খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) সংস্পর্শে এসে আদর্শিক আলোর পথের দিশারী হিসেবে ১ হাজার ২৫০ জন পীর আওলিয়া তার খেলাফত প্রাপ্ত হন।

মহান মুর্শিদ খাজা বাবা ইউনুছ আলী (রঃ) বাংলা ১৩৫৮ সনের ১৮ ফাল্গুন পরলোক গমন করেন। অতীতে তার দরবারে প্রতি ইংরেজী বছরের শুরুতেই ওরশ হলেও তৃতীয় বছরের মত ১০৮ তম ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয় ৭১ তম ইন্তেকাল দিবসে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে