বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩; সময়: ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ |
খবর > খেলা
বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশের জয়যাত্রার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। প্রায় সাত বছর পর নিজেদের আঙিনায় সিরিজ হারের হুমকির মুখে বাংলাদেশ। গত সাত বছরে দেশের মাটিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারলেন তামিম ইকবালরা।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে হতশ্রী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২০৯ রানে। বোলাররা দারুণ বোলিংয়ে এই ম্যাচটিকে চ্যালেঞ্জিং বানিয়ে ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত দাভিদ মালানের ধৈর্যশীল সেঞ্চুরিতে তিন উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে সফরকারীরা। বাংলাদেশের জন্য আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে বাঁচা-মরার।

হারলেই সিরিজ হাত ছাড়া। সেই সঙ্গে ঘরের মাটিতে সিরিজ জয়ে ছেদ পড়বে। ইংল্যান্ড পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের আগে উপমহাদেশে ভালো করার অনুপ্রেরণা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়। আগের ম্যাচে গ্যালারি ছিল অনেকটাই ফাঁকা। আজ শুক্রবার ছুটির দিন, গ্যালারি হয়তো থাকবে ভরা।

দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট কেমন হবে? এটি শিশুতোষ প্রশ্ন। মিরপুরে আবার কেমন উইকেট হবে? প্রথম ম্যাচের উইকেটের মতো হবে আর কী! যেখানে স্পিনারদের সামলাতে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ব্যাটারদের। পেসারদের জন্যও থাকবে সুবিধা। দুপুর ১২টায় ম্যাচ শুরু হওয়ায় রাতের শিশিরের কবলে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে না।

এদিকে মালান বাংলাদেশে এর আগে সব মিলে ৫২টি ম্যাচ খেলেছিলেন। এর মধ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২৪টি এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২৮টি ম্যাচ। শুধু মিরপুরেই তিনি খেলেছেন ২৭ ম্যাচ। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা এই মাঠে অবিরাম ম্যাচ খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা বা শিক্ষা কিছুই কাজে লাগাতে পারলেন না। বিপিএলে ভালো করার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন নাজমুল হোসেন। আগের ম্যাচে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি (৫৮)। কিন্তু মালান হতে পারেননি নাজমুল। পারেননি বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার।

বাংলাদেশের চিন্তা টপঅর্ডার নিয়ে। ভারতের বিপক্ষেও টপঅর্ডার ব্যর্থ হয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম ম্যাচে তাই হলো। এবার লোয়ার অর্ডারে মেহেদী হাসান মিরাজ রুখে দাঁড়াতে পারেননি। জয়ে ফিরতে হলে অবশ্যই ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। একই সঙ্গে প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমান যদি দুএকটা উইকেট এনে দিতে পারতেন, তাহলে ম্যাচের ফল অন্য কিছু হতেও পারত।

তবে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংসটা লম্বা করতে না পারায় যে বড় ভুল হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছেন নাজমুল। তিনি বলেন, ‘মাত্র একটা ম্যাচে রান করলাম। প্রথম ম্যাচে অনেক ভুল করেছি। যদি ইনিংসটা বড় করতে পারতাম, তাহলে হয়তো ২৪০-২৫০ রান হয়ে যেত।’

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচেও অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নামতে পারে। দুএকটা পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ইংল্যান্ডের একাদশে। তাদের মালান ছাড়া আর কেউ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। ইংল্যান্ডের পঞ্চম বয়স্ক ব্যাটার হিসাবে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মালান। তাদের বোলিংয়েও ছিল না খুব বেশি চমক। তারা ২৬ রান অতিরিক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। ওয়ানডে সিরিজে একদিন বিরতি থাকায় দুদলই কাল অনুশীলন করেনি।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে