পুলিশে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে হাতিয়ে নিলো লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩; সময়: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ |
পুলিশে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে হাতিয়ে নিলো লাখ লাখ টাকা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মাত্র ১২০ টাকায় খরচ করলেই পাওয়া যাবে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি। এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে পুলিশ সদর দফতরের। কোনো ধরনের ঘুষ ও তদবির ছাড়াই চাকরিও পাচ্ছেন যোগ্য প্রার্থীরা। কিন্তু বসে নেই প্রতারক চক্রও।

এ পদে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। এ রকম একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, টাকা হাতিয়ে নিলেও কারও কপালেই জোটেনি চাকরি।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল বা টিআরসি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলাভিত্তিক শূন্যপদের বিপরীতে ৬৪ জেলায় ৫ হাজার ৫০০ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে। ২০২১ সাল থেকে এ পদের নিয়োগ পরীক্ষার আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

নতুন নিয়মে সাত ধাপ অনুসরণ করে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা। এই ধাপে মোট তিন দিন প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করা হয়। এ ইভেন্টে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আরও পাঁচ ধাপ অতিক্রম করার পর পাওয়া যায় কনস্টেবলের চাকরি।

নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে পুলিশ সদর দফতরের রয়েছে কঠোর নির্দেশনা। ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট এবং ২০ টাকার ফরম অর্থাৎ মাত্র ১২০ টাকায় খরচ হবে চাকরি পেতে। কিন্তু এখানেও প্রতারকদের হাতছানি।

টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ৭ থেকে ১২ লাখ টাকা হলেই নিশ্চিত চাকরি–এমন আশ্বাস দিত প্রার্থীদের। কারো কাছ থেকে নগদ, কারো কাছ থেকে চেকে টাকা নিত প্রতারকরা।

পুলিশ বলছে, উত্তরাঞ্চলের অন্তত অর্ধশত প্রার্থীকে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছিল চক্রটি। যদিও তারা একজনকেও চাকরি দিতে পারেনি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মশিউর রহমান সম্প্রতি বলেন, এ প্রতারক চক্র কখনো আইজিপি কখনো স্বরাষ্ট্রসচিব আবার কখনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস পরিচয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে। তাদের পরীক্ষা দেয়ার জন্য পুলিশ লাইনে পাঠিয়েছে। তারপর তারা প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছে, ভিআইপিভাবে পরীক্ষা নিয়ে পাস করিয়ে দেবে। আশ্বাস দিয়েছে নিয়োগপত্র দিয়ে পাঠিয়ে দেয়ার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক অফিস সহকারীরও এ চক্রে জড়িত থাকারও তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে