রাজশাহীতে বিয়ে বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার আসামি ধরছে না পুলিশ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩; সময়: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে বিয়ে বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার আসামি ধরছে না পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অতিথিদের মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন রাজশাহী শিরোইল শান্তিবাগ এলাকার জালাল উদ্দিন। তার ৫ দিন পর অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগটি মামলা আকারে নথিভুক্ত করেন কাটাখালি থানা পুলিশ। জালাল উদ্দীন বোয়ালিয়া থানার শিরোইল শান্তিবাগ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জমসেদ আলী জুম্মনের ছেলে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মামলার আসামিরা হলো-কিসমত কুখন্ডি এলাকার বদির উদ্দিনের ছেলে ভুট্টু (২০), বাচ্চুর ছেলে রোহান (২৩), আলালের ছেলে নাসির উদ্দিন (২২), হাুফিজুর রহমানের ছেলে হৃদয় (১৯), মৃত করিম আলীর ছেলে আমিন (২৩) ও মোমিন (২২) । দেরিতে মামলা নেয়া, অন্যদিকে ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামি ধরতে পুলিশের কোনো তৎপরতা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি জালাল উদ্দিন ও ভুক্তভোগীরা।

তারা পুলিশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথম থেকেই পুলিশের ভুমিকা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ মামলা করার পূর্বে আসামিদের মধ্যে এক ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে মামলাটি করতে বলেন কাটাখালি থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও এজাহারটি নিজের মত করে তৈরি করেন তাদের অপারেটরকে দিয়ে।

জালাল উদ্দীন বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সপরিবারে কিসমত কুখন্ডি এলাকায় আমার নিকট আত্মীয় কিরণ শেখের মেয়ের বিয়েতে যায়।

সেখানে খাবার টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা এবং অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের মারধর করে। এসময় হামলাকারিদের বাধা দিলে আমাকে এবং আমার ছেলে আবির হোনেকে হাতুর, পাইপ ও রড দিয়ে মারধর করে। এতে আবিরের মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার সিটি স্কাইন করা হয়েছে। মাথায় রক্ত জমে আছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া জালাল উদ্দিনের ডান হাতে ২টি সেলাই এবং টনি নামের এক যুবকের মাথা ফেটে ৪টি সেলাই পড়ে।

এদিকে কিরণ শেথের মেয়ের বিয়েতে সন্ত্রাসী হামলাকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তারা। মামলার বাদি জালার উদ্দিন তার ফেসবুক আইডিতে লেখেছেন কাটাখালি থানার ২৫/৪৯ মামলার অগ্রগতি রহস্য জনক, দেনদরবার হয়েগেছে আসামীদের সাথে।

এদের বিরুদ্ধে কে ব্যবস্থা নিবে? এছাড়াও আসামিদের গ্রেপ্তারে আরএমপি পুলিশ কমিশনারের নিকট অনুরোধ জানান তিনি। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহীন অনু ইসলাম জানান, বিয়ে বাড়িতে খাবার টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে বাইরে থেকে আসা অতিথিদের একটা গন্ডগোল হয়। একপর্যায়ে এজাহার নামীয় আসামিরা ভাংচুর এবং অতিথিদের মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা নেই এটা সঠিকনা। আমরা গতকাল রাতে প্রত্যেকের বাসায় অভিযান চালিয়েছি। এসময় তারা কেও বাসায় ছিলোনা। তবে তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে