ইডেনে স্টাম্প দিয়ে ছাত্রী পেটালেন ছাত্রলীগ নেত্রী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩; সময়: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ |
ইডেনে স্টাম্প দিয়ে ছাত্রী পেটালেন ছাত্রলীগ নেত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : খারাপ আচরণের প্রতিবাদ করায় রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে স্টাম্প দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। পেটানোর পর তাঁর চুল ছিঁড়ে ফেলেছেন এবং বঁটি নিয়েও তাঁকে ধাওয়া করেন ওই নেত্রী।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা হলের ৫০৬ নম্বর রুমে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। নির্যাতনের ছবি গণমাধ্যমের কাছে আছে। তবে তা বীভৎস।

অভিযুক্ত ওই নেত্রীর নাম নুজহাত ফারিয়া রোকসানা। তিনি ইডেনের ছাত্রলীগের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত। এর আগেও রোকসানার বিরুদ্ধে কলেজের আরেক নেত্রীকে মারধর, সিট দখল ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘রোকসানা হলে সিট বাণিজ্য করেন। তিনি বাইরের মেয়েদের টাকার বিনিময়ে হলে রাখেন। তিনি এক রুমে ২০ জন করে মেয়ে রাখেন। তিনি টাকা নিয়ে আমাদের হলে তুললেও এখন পর্যন্ত সিট দেননি। বরং আমাদের দিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কাজ করান। তাঁর জুতা পর্যন্ত পরিস্কার করান। তাঁর কাজ করতে রাজি না হলে তিনি ছাত্রীদের বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন।’

তিনি বলেন, ‘তাঁর (রোকসানা) রুমে ক্রিকেট স্টাম্প আছে। কথা না শুনলে তিনি স্টাম্প দিয়ে মারধর করেন। তিনি সবার সঙ্গেই বাজে আচরণ করেন। আমি তাঁর এই খারাপ আচরণের প্রতিবাদ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার রুমে এসে আমাকে স্টাম্প দিয়ে মারেন। এরপর তিনি বঁটি নিয়ে আমাকে মারতে এলে আমি চিৎকার করে রুম থেকে বের হয়ে যাই। পরে অন্যরা এগিয়ে এসে আমাকে বাঁচান।’ পরে শিক্ষকরা এসে তাঁকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান।

তবে তাঁরা তাঁকে ‘স্বেচ্ছায় হল ত্যাগ’ করছি লিখে আবেদন দিতে বলেন।

তিনি এখন হলের বাইরে আছেন। ভুক্তভোগী জানান, তিনি রোকসানাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠেছেন। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও এখনও সিট দেননি।

এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা হল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে তাঁরা ভুক্তভোগীর অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন। তাঁরা আরও বলেছেন, রোকসানা ওই মেয়ের চুল ছিঁড়ে ফেলেন। নির্যাতনে ভুক্তভোগীর জামা ছিঁড়ে যায়। প্রতিবাদ করায় পরে পুরো ফ্লোরের ছাত্রীদের সিট কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রোকসানা।

তবে রোকসানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। হল সুপার নাজমুন নাহার বলেন, ‘এটা তাদের দুইজনের (রোকসানা এবং ভুক্তভোগী) অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি তাদের বলেছি তারা যেন মিটমাট করে নেয়।’ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে কেউ এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটালে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে