রাজশাহীতে হেলেনাবাদ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই ইট-রড বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩; সময়: ৫:৫০ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে হেলেনাবাদ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই ইট-রড বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর হেলেনাবাদ সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ভাঙ্গা ইট, লোহার রড গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাসালিটির অধিনে এই বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়াল ও গেট পুণরায় নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন গেট ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের জন্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে পুরাতন ওয়াল ও গেট। কিন্তু বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙ্গার পর পুরাতন ইট ও রড প্রধান শিক্ষক গোপনে তার লোকজন দিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রধান শিক্ষক বলছেন ইট বা রড বিক্রি করা হয়নি। সব স্কুলেই পড়ে আছে।

জানা গেছে, পশ্চিম পাশের বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙ্গার ওয়ালের প্রায় ৫০ হাজার ইট, যার বাজার ৯ হাজার টাকা হাজার হিসাবে সাড়ে চার লাখ, ৪ টন, প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এসব ইট ও রড তিনি ওয়াকশন বা টেন্ডার না দিয়ে নিজের লোক দিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, ওয়াল ভেঙ্গে ঠিকাদার বিদ্যালয়ের মধ্যে স্কুপ করে রেখেছিল ইট ও রড। স্তুপ করে রাখা এসব পুরাতন ইট ও রড টেন্ডার না দিয়ে প্রধান শিক্ষক অধিকাংশ গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন। নিয়ম বর্হিভুতভাবে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ বা পরামর্শ না করে তিনি নিজেইর ক্ষমতা বলে বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়াও গার্ডের ঘর ও পুরাতন ভবন ভাঙ্গা ইট রড বিক্রি করে দিয়েছেন।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের বাউন্ডারী ওয়ালের যে ইট পড়ে আছে তা হাজার দুই থেকে তিন হাজারের মত হবে। বিদ্যালয়ের ভেতরে কিছু রড পড়ে আছে। যা অতি সামান্য। ওয়ালের কাজ চলমান রয়েছে। শ্রমিকরা ইটগুলো সরিয়ে কাজ করছেন। শুধু মাত্র বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের দক্ষিণ কর্ণারে কিছু ইট লোক দেখানো ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে ও রাতের আঁধারে প্রধান শিক্ষকের লোকজন এসব ইট ও রড নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। আর বিক্রি করা রড ও ইটের টাকা প্রধান শিক্ষককে ভাগ দিয়েছে। তিনি লোক দেখানোর জন্য সামান্য কিছু ইট বিদ্যায়ের ফেলে রেখেছেন। আর বাকিগুলো তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন তার লোক দিয়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছেমত যা ইচ্ছে তাই করেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষক বা পরিচালনা কমিটি থাকলেও তিনি তাদের পরোয়া করেন না। শিক্ষকরা বলেন, ইট ও রড তিনি নিজের ক্ষমতা বলে লোক দিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন।

এব্যাপারে হেলেনাবাদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম ইসাবেলা সাত্তার জানান, কোনো ইট বা রড আমি বিক্রি কিরিনি। কারণ এসব ইট বা রড বিক্রি করার এখতিয়ার আমার নাই। ওয়াল ভাঙ্গা যে ইট ও রড রয়েছে তা সম্পুর্ন স্কুলের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে। এধরনের অভিযোগ সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে