মধ্যবিত্তের উচ্চশিক্ষা এখনো দুঃস্বপ্ন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩; সময়: ১২:৩০ অপরাহ্ণ |
মধ্যবিত্তের উচ্চশিক্ষা এখনো দুঃস্বপ্ন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশে বিপুলসংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা গ্রহণ এখনো দুঃস্বপ্নই রয়ে গেছে। আগ্রহ থাকা সত্ত্ব্বেও শুধু উচ্চ টিউশন ফি’র কারণে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোনোর পর এ শ্রেণির বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার পর্ব গুটিয়ে নিতে হচ্ছে। ফলে উচ্চ শিক্ষায় ধনী-গরিবের বৈষম্য প্রকট হয়ে উঠছে। উচ্চমানের চাকরির ক্ষেত্রেও তাই নিম্ন-মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।

শিক্ষাবিদরা জানান, গত তিন দশকে দেশে ধাপে ধাপে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও টিউশন ফি নির্ধারণে সুস্পষ্ট নীতিমালা হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় নামের ব্যানারে পরিচালিত এসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইচ্ছামাফিক ফি নির্ধারণ করছে। যে ব্যয় বহন করা মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের পক্ষে দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অথচ আইন অনুযায়ী, টিউশন ফি নির্ধারণের আগে সরকারের অনুমোদন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ৪২ ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার মানদন্ডে সহনশীল ফি কাঠামো প্রস্তুত করার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু সহনশীলতার এই আইন শিক্ষার্থীদের জন্য বিষাদে রূপ নিয়েছে।

এদিকে পরিচালনার ক্ষেত্রেও এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনাও মানছে না। লাগাম ছাড়া ফি নির্ধারণ করা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও স্নাতক শেষ করতে পাঁচ লাখ থেকে দশ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার ক্ষেত্র বিশেষ এই খরচের অঙ্ক ১৫ লাখে গিয়ে ঠেকছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেমিস্টার ফি, ভর্তি ফি, সতর্কিকরণ ফি, ক্রেডিট ফি, উন্নয়ন ফি, বিলম্ব ফিসহ নামে-বেনামে অজস্র খরচ মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের জন্য রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়গুলোতে পড়াশোনার ব্যয় মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে। তা ছাড়া প্রতি বছর এ খরচ জ্যামিতিক হারে বাড়ছেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিবিএ পড়তে হলে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক শেষ করতে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা আর সাংবাদিকতায় স্নাতক শেষ করতে চার থেকে আট লাখ টাকা লাগছে।

এ ছাড়া সিএসই পড়তে তিন থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং পড়তে তিন থেকে পাঁচ লাখ ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক শেষ করতে দিতে হয় প্রায় সাড়ে চার থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকা। যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি ও টিউশন ফি এবং শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বিষয়ে ভিন্নতা ও অসামঞ্জস্যতা রয়েছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের \হট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট ও প্রশংসাপত্র ইত্যাদি সরবরাহ করার ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চহারে ফি আদায় করছে। এমনকি কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই প্রতি বছর টিউশন ও ভর্তিসহ অন্যান্য ফি বাড়ানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে।

২০১৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি, টিউশন ফি নির্ধারণের বিষয়ে তৎকালীন ইউজিসি চেয়ারম্যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি নীতিমালার খসড়া দিলেও অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ ১০ বছরেও ওই নীতিমালা আলোর মুখ দেখেনি।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভর্তি ফি, সতর্কিকরণ ফি, ক্রেডিট ফিসহ নামে-বেনামে এমন অজস্র ফি দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করতেই গুনতে হয় ১৩ লক্ষাধিক টাকা। ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করতে গুনতে হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এমন উচ্চ ফি শুধু নর্থ সাউথ বা ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়। উচ্চশিক্ষার নামে চড়া দামে সার্টিফিকেট বিক্রির এই রমরমা ব্যবসা দেশের প্রায় বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই চলছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকপক্ষ কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া ভর্তি ও টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও এগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় কোনো নীতিমালা আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি।

অন্যদিকে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি থাকলেও তাদের অনেকেই ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। দেখা গেছে, সরকারের কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে উপস্থিত হলেও ভূমিকা রাখতে পারেন না। কেউবা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণাই রাখেন না। আবার কিছু কর্মকর্তা স্রেফ সিন্ডিকেটে যোগ দেওয়ার সম্মানী পেয়েই সন্তুষ্ট থাকেন।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশের কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কত টাকা টিউশন ফি গ্রহণ করছে এসব বিষয়ে জানতে ইউজিসির কাছে কয়েক মাস আগে তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু ইউজিসি থেকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তথ্য দিতে মঞ্জুরি কমিশনকে পুনরায় তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের সহযোগিতা মেলেনি। ইউজিসি থেকে তথ্য পেলে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মাঝে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

এদিকে ইউজিসির দাবি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে যে নীতিমালা আছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত ফি নেবে সেটা নিজেরাই নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে ইউজিসির কিছুই করার নেই। যদি বেসরকারিতে গলাকাটা ফি নেয় তবে শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়বে না। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই ভালো শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, আর ভালো শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রয়োজন ভালো বেতন। সুতরাং টিউশন ফি স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে পারে। যেহেতু সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এক পয়সাও দেয় না সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের এই টিউশন ফির ওপর নির্ভর করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চহারে ফি নিয়েও যদি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে, সে ক্ষেত্রে ইউজিসির কিছুই বলার নেই। কিন্তু উচ্চ ফি নিলেও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে ইউজিসি সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির (এপিইউবি) নেতারা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফি কাঠামোতে একটি নির্ধারিত রূপ দিতে অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে। শিক্ষার মানদন্ড ও সুযোগ সুবিধাভেদে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি ভিন্নরকম থাকতেই পারে। এ ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে কত টাকা টিউশন ফি নিতে পারবে এমন একটি নীতিমালা করা যেতে পারে। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। তবে অনিয়ন্ত্রিত ফি যাই থাকুক না কেন আলোচনার মাধ্যমে একটি সঠিক সমাধানে আসা অসম্ভব কিছু নয়।

এদিকে বেশ কয়েকটি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে প্রায় ২০ গুণ বেশি ব্যয় করছে। আবাসিক ব্যয়, খাবারসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে দুই ক্ষেত্রে খরচের বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যেখানে মাসে মাত্র ছয় হাজার টাকা ব্যয় করে চলতে পারে, সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মাসে ব্যয় হয় ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ ২০১৭ সালের তথ্যানুযায়ী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীর পেছনে বছরে গড়ে পৌনঃপুনিক ব্যয় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বিজ্ঞান, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পেছনে গড় ব্যয় বেশি। ওই বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীপ্রতি মাথাপিছু ব্যয় ছিল চার লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন লাখ ৯৬ হাজার ৫৩ টাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৯০ টাকা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৯৫ হাজার ১১০ টাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ওই টাকার প্রায় পুরোটাই দেয় সরকার।

অন্যদিকে ইউজিসির তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীপ্রতি গড়ে ব্যয় করেছে ৮১ হাজার ১৮২ টাকা। তবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ব্যয় করেছে ৯২ হাজার ৭৪৪ টাকা, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) দুই লাখ ১৩ হাজার ৪৫০ টাকা, আহছানউলস্নাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ৮৩ হাজার ৬৩৪ টাকা, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ৮৭ হাজার ২৮৩ টাকা, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এক লাখ ৪৯ হাজার ২৩৭ টাকা, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এক লাখ ৯ হাজার ৫৭৫ টাকা শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় করেছে।

শিক্ষাবিদরা জানান, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হার্ভার্ড ও ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি। দুটিই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেখানে ওই দেশের সরকার অনুদান দেয়। আর টিউশন ফি’র একটা সিলিং নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের কোনোই সহায়তা নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফি বাড়াতে থাকলেও সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি’সহ আনুষঙ্গিক খরচাদি অনেক বেশি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারি বরাদ্দ পেলেও আমাদের দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় না। এ কারণে তাদের নিজের আয় থেকে শিক্ষকদের বেতনাদি পরিশোধসহ অন্যান্য খরচ পরিচালনা করতে হয়। তবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিছু সংখ্যক দরিদ্র শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারে। তাদের টিউশন ফি মওকুফ করতে পারে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়াও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য তেমন কঠিন কিছু না।

প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদন দেওয়ার জন্য তা যেন মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে না ওঠে সে শর্ত দেওয়া হয়। তবে বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। যদিও কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিম্নমধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথ উন্মুক্ত রাখতে তাদের টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি নানাভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করেছে। সূত্র-যায়যায়দিন

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে