শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ রাবি ছাত্রলীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোলাইমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত নোটিশে তাদেরকে কারণ দর্শানোর এ আদেশ দেওয়া হয়।

নোটিশ এ বলা হয়েছে, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আলী ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান আপনাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রেক্ষিতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী তিন (০৩) কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তর সেলে জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হলো।”

নোটিশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলা হয়, “একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নেতৃবৃন্দ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সকল হল, অনুষদ ও বিভাগ কমিটির সকল নেতাকর্মীকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা, গঠনতান্ত্রিক আদর্শিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিক বজায় রাখা ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের উপযোগী স্মার্ট ছাত্ররাজনীতি বিনির্মাণে সচেষ্ট থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।”

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) কৃষ্ণ রায় নামে এক শিক্ষার্থীকে হলকক্ষে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলাম ও শুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোলাইমানসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।

সেই সঙ্গে মেরে ‘শিবির’ বলে চালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান। এ ঘটনায় হল প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলামের সাত-আটজন অনুসারী আমার রুমে এসে আমাকে বের হয়ে যেতে হুমকি দেয়। আমি রাজি না হলে আমার বিছানাপত্র ফেলে দিয়ে আরেকজনকে তুলে দেয় তারা।

এ সময় সোলাইমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা আমাকে মারধর করে। এরপর আমাকে সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলামের রুমে নিয়ে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

একপর্যায়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম তাকে মেরে শিবির বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।