বাঘার শিশু ঈশা হত্যা কান্ডে মা বাবার আর্তনাত ও পরিবারের আহাজারি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩; সময়: ৯:০০ অপরাহ্ণ |
বাঘার শিশু ঈশা হত্যা কান্ডে মা বাবার আর্তনাত ও পরিবারের আহাজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : ৫ বছর বয়সের একমাত্র কণ্যা শিশুকে হারিয়ে কোন শান্তনাতেই থামছেনা মা-বাবার আর্তনাদ। প্রতিবেশিরাও বাক রুদ্ধ মা-বাবাকে শান্তনা দিতে গিয়ে তাদের আর্তনাদে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। কানে সোনার রিং এর জন্য শিশু ঈশা খাতুন হত্যার স্বীকার হয়েছে বলে মায়ের আর্তনাদে বারবার এমন কথা শোনা গেছে। এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনেও। মাদকসেবীরা এ কাজ করতে পারে কিনা,সন্দেহ করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে বিকেল সাড়ে ৩ টায় আড়ানী স্টেশন এলাকার গোরস্থানে ওই শিশুকে দাফন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে, শিশুর চাচা দোয়েল হোসেন জানান, নিখোঁজের ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আড়ানী স্টেশন এলাকার ইক্ষুক্রয় কেন্দ্রের পেছনের গম ক্ষেত থেকে শিশু ঈশা খাতুনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মুখ দেখে চেনা না গেলেও পোশাক দেখে মরদেহ সনাক্ত করে শিশুর পরিবার। পরে তার কানে থাকা ২ আনা ২রতি সোনার রিং পাওয়া যায়নি। ২ ফেব্রুয়ারি (বৃহসপতিবার) রাত ৮টায় আড়ানী রেল স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার ধারে তার মা চম্পা বেগমের ধুপিপিঠার দোকানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ঈশা খাতুন। ঈশা খাতুন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার রেল স্টেশন সংলগ্ন নুরনগর গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।

শিশুর আরেক চাচা রুবেল আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয় শামিম হোসেনের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর আড়ানী ইক্ষুক্রয় কেন্দ্রের পেছনে গম ক্ষেতের মধ্যে পড়ে থাকা মরদেহটি ঈশা খাতুনের বলে সনাক্ত করেন। এর আগে শুক্রবার (০৩-০২-২০২৩) বাঘা থানায় সাধারণ ডাইরী (জিডি) করেছিলেন ঈশা খাতুনের পিতা ইউসুফ আলী। ৫ ফেব্রুয়ারী অজ্ঞাতদের আসামী করে অপহরণ মামলা করেন বলে জানান রুবেল আহমেদ ।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কানে থাকা সোনার রিং বিক্রি করে মাদকের টাকা যোগাড় করতেই মাদকসেবীরা এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সেই বিষয়টি নিয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘটনে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে