নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ–বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩; সময়: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ |
নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ–বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম : বিএনপির চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে শনিবার সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পদযাত্রা করবে দলটি । একই দিন ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুইদলের এ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে নন্দীগ্রামে রাজনীতিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রতিটি ইউনিয়নে পদযাত্রা করবে। তাদের পদযাত্রা সফল করতে দফায় দফায় মিটিং করছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। পদযাত্রায় বাধা দিলে তা মোকাবেলা করতে প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে একই দিন ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নন্দীগ্রাম আওয়ামী লীগ। প্রতিটি ইউনিয়নেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানায় দলীয় নেতারা।

এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানান নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।

গত বছরের ৩১ আগষ্ট কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নন্দীগ্রাম মুনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ মাঠে সমাবেশ আহবান করে উপজেলা বিএনপি। একই সময়ে ১০০ গজ দূরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা শ্রমিকলীগ শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে শোকসভার আয়োজন করে। একপর্যায়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বিএনপির নেতা কর্মীরা।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ইতিমধ্যে নন্দীগ্রাম দলীয় কার্যালয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে পদযাত্রা সফল করতে মিটিং করেছি। পদযাত্রা সফল করতে যা যা করার দরকার করা হবে। তবে আমরা কোন সংঘাত চাই না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান জানান, শান্তি সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিএনপি পদযাত্রার নামে বিশৃঙ্খলাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালালে তাদের প্রতিহত করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নন্দীগ্রাম থানাসহ একটি তদন্ত কেন্দ্রে ৭৫ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তাদের উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে দায়িত্বভাগ করে দেয়া হবে। দুইদলের সমাবেশ ঘিরে পুলিশ সজাগ রয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে