‘এলপি গ্যাস নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে কঠোর ব্যবস্থা’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩; সময়: ১০:৩১ অপরাহ্ণ |
‘এলপি গ্যাস নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে কঠোর ব্যবস্থা’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ‘মূল্য সমন্বয়ের জন্য সরকার যে দিন এলপি গ্যাসের দাম বাড়াল, সেদিনই ব্যবসায়ীরা স্টকে থাকা সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেছে। সরকার ১২ কেজির সিলিন্ডার ২৬৬ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামের চেয়ে আরও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এমন পরিস্থিতি কোনো মতে হতে দেওয়া যাবে না। বাড়তি দামে বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বুধবার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এলপি গ্যাসের মূল্য বিষয়ে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

মহাপরিচালক জানান, উৎপাদন পর্যায়ে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করায় পাইকার ও সরবরাহকারীরা তারা তাদের মতো করে মূল্য বাড়িয়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করেছে।

এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সঙ্গে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, এফবিসিসিআই, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), গোয়েন্দা সংস্থা, এলপি গ্যাস সমবায় সমিতির প্রতিনিধিসহ এলপি গ্যাস উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী (বেক্সিমকো, ফ্রেশ, জেএমআই, ওরিয়ন, বসুন্ধরা, ওমেরা, এনার্জিপ্যাক, লাফজ, ডেল্টা, বিএম এনার্জি) প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, বিইআরসি ২ ফেব্র“য়ারি ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের মূল্য ১ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু বাজারে সে গ্যাস এক হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিল থেকে ১২ কেজির এলপি গ্যাসের মূল্য ১ হাজার ৪২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিবেশক প্রতিটি বোতলে ৩৭ টাকা মুনাফা করবে। আর খুচরা বিক্রেতা করবে ৩৮ টাকা। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা। কিন্তু কোম্পানিগুলো ১২ কেজির একটি গ্যাস সিলিন্ডার ১ হাজার ৫২০ টাকায় বিক্রি করছে। পরিবেশকেরা আরও ৭০ থেকে ১০০ টাকা লাভে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। খুচরা বিক্রেতারা দাম আরও বাড়িয়ে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা ভোক্তার কাছে বিক্রি করছে।

এ বিষয়ে উৎপাদন কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা জানান- সম্প্রতি ডিজেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়লেও তা এলপি গ্যাসের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়নি। এ ছাড়া এলসি জটিলতায় গ্যাস আমদানিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সবকিছু মিলে তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না। তবে কোনো কোনো কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, পরিবেশকদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করলেও তাদের কমিশন হিসাবে টাকা ফেরত দিচ্ছেন।

পরিবেশকরা জানান, তারা কোম্পানি থেকে বাড়তি দামে কিনছেন। এ জন্য বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কয়েক দিন ধরে কোম্পানির ডিপোতে গাড়ি পড়ে আছে। প্রতিদিন দুই হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি ১২ কেজি এলপি গ্যাসের মূল্য ২৬৬ টাকা বাড়ানোর পরও কেন নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবাইকে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই এলপি গ্যাস বিক্রি করতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে