রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩; সময়: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ |
রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মাগুরার শ্রীপুরে প্রথমবারের মতো রঙিন জাতের ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন সুশেন বালা ও দীপা বালা নামে কৃষক দম্পতি।

এই রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন জাতের এই ফুলকপি। দাম অবশ্য সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে চার গুণ বেশি।

এই ফুলকপিগুলো দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউপির হাজরাতলা গ্রামের সুশেন বালা ও দীপা বালার ক্ষেতে।

৪০ শতক জমিতে সোনালি, বেগুনি, লাল, কমলাসহ সাত রঙয়ের ফুলকপি চাষ করেছেন তারা। তাদের সাফল্য দেখে আশেপাশের অনেক কৃষকেরা উৎসাহিত হয়েছেন।

আগামীতে এ রঙিন জাতের ফুলকপির চাষ তারাও করবেন বলে জানান, অরূপ বিশ্বাস, মনজিৎ, সূর্য, সুমনসহ একাধিক কৃষকরা।

কৃষক সুশেন বালা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার প্রথমবারের মতো ২০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন।

সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তিনি এই ফুল কপি চার গুণ বেশি দামে অর্থাৎ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে তিনি আরও বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান।

কৃষাণী দীপা বালা জানান, শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেওয়া বীজ ও সার নিয়ে তিনি হাজরাতলা মাঠে ২০ শতক জমিতে সোনালি ও বেগুনিসহ বিভিন্ন রঙের নতুন জাতের এ ফুলকপি চাষ করেন। সাধারণ জাতের ফুলকপির মতো এর ফলনও ভালো হয়েছে।

মাগুরা সদরের হাজরাপুর গ্রামের কৃষিবিদ চাষি রবিউল ইসলাম জানান, শ্রীপুরের হাজলাতলা গ্রামে বিভিন্ন রঙের রঙিন ফুলকপির চাষ করা হয়েছে জানতে পেরে, আমি দেখতে গেয়েছিলাম। দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। কৃষক সুশেন বালার কাছ থেকে জানতে পেরেছি খুব ভালো ফলন হয়েছে। আমি নিজে আগামীতে রঙিন জাতের এই ফুলকপির চাষ করবো।

পাশাপাশি আমার এলাকার কৃষকদেরকেও এ জাতের ফপি চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করা হবে। কেননা রঙিন এই ফুলকপি খুব লাভজনক চাষ। কৃষকরা যদি রঙিন এই ফুলকপি চাষ করে, তাহলে তারা যেমন লাভবান হবে। পাশাপাশিটি অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন একমাত্রা।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি রফিকুজ্জামান জানান, কৃষি অফিসের মাধ্যমে শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের হাজরাতলা মাঠে ৭ রঙের ফুলকপি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেন সুশেন বালা ও দীপা বালা।

আগামীতে রঙিন এ ফুলকপি চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি। উৎপাদন ভালো হওয়ায় জেলার অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।

রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও বাজার মূল্য অনেক বেশি। খেতেও সুস্বাদু। আশা করছি আগামীতে জেলায় রঙিন জাতের ফুলকপির চাষ আরও বাড়বে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে