মহাদেবপুরে ভূতনাথ মেলায় প্রকাশ্যে চলছে গাঁজার আসর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩; সময়: ৪:২৫ অপরাহ্ণ |
মহাদেবপুরে ভূতনাথ মেলায় প্রকাশ্যে চলছে গাঁজার আসর

নিজস্ব প্রতিবেদক, মহাদেবপুর : নওগাঁর মহাদেবপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক ভূতনাথ ধাম মন্দিরের ১০ দিনের এ মেলায় দোকান বরাদ্দের নামে প্রতিবর্গফুট জায়গার জন্য ১ হাজার থেকে ১৩শ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

এ মেলাকে কেন্দ্র করে তিনি প্রায় কোটি টাকা বাণিজ্যের মিশনে নেমেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে প্রায় ৫শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক এ মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও প্রকাশ্যে চলছে গাঁজার আসর। এ মেলায় গাঁজার আসরে আগত ক্রেতা এবং সেবনকারীরা জানান, এ মেলার ঐতিহ্যই হলো গাঁজার আসর।

সূত্রমতে, সেখানে প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিন মণ গাঁজা বেচা-কেনা হচ্ছে। এ মেলায় মিষ্টি, আসবাবপত্র, কমমেটিকসহ ৫ শতাধিক বিভিন্ন দোকান বসানো হয়েছে। দেয়া হয়েছে মোটরসাইকেল সিএনজিচালিত অটোরিক্সা গ্যারেজ। গত ২৬ জানুয়ারি ঐতিহাসিক এ মেলার ডাক দেয় উপজেলা প্রশাসন।

১২ দিন ব্যাপী এ মেলার সর্বোচ্চ ডাক ওঠে ৪ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে এ মেলার ইজারা পান ভীমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু। ভুতনাথ মন্দিরের আশপাশে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে বিভিন্ন দোকানপাট। মেলার ডাক বেশি হয়েছে এমন অজুহাতে মেলার ইজারাদার কামরুজ্জামান বাবু গত বছরের চেয়ে কয়েকগুন ভাড়া বেশি আদায় করছেন এমন অভিযোগ দোকানীদের।

তারা জানান, প্রতিটি দোকান থেকে ভাড়া বাবদ প্রতি বর্গফুট জায়গার জন্য ১ হাজার থেকে ১৩শ’ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

মেলায় দেয়া দোকানিরা জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে তারা তাদের দোকানের মিষ্টি, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অতিরিক্ত মূল্যে বিভিন্ন মালামাল কিনতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছে ক্রেতারা।

অতিরিক্ত টোল আদায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভূতনাথ ধাম মন্দিরের উপদেষ্টা রামপ্রসাদ ভদ্র বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি ভৈমী একাদশী তিথি থেকে শুরু হয়েছে এই ঐতিহাসিক মেলা। এ ভূত ধাম মন্দির উন্নয়নে ইজারাদার ২০ হাজার টাকা অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সে টাকা এখনো তিনি দেননি।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ঐতিহাসিক এই ভূতনাথ মেলায় আগত সনাতন ধর্মালম্বী ভক্ত, দর্শনার্থী এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মেলার ইজারাদার কামরুজ্জামান বাবু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শুধু সামনের সাইড মেপে ভাড়া নেয়া হচ্ছে তবে তার পরিমাণ এত টাকা নয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান বলেন, এ মেলায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে