জাহানারা জামানের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩; সময়: ১০:০৮ অপরাহ্ণ |
জাহানারা জামানের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরেন্দ্রভূমির বরপুত্র, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর রক্তবন্ধু শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান এঁর সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন’র মাতা মহীয়সী নারী প্রয়াত জাহানারা জামান এঁর ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবস স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬.৩০টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এঁর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সন্তানের কাছে মা একজন নির্ভরতার প্রতীক, কত যে আপনজন যা সন্তান মাত্রই অনুধাবন করতে পারে। আমিও আমার মায়ের শূণ্যতা প্রতি মুহূর্তেই অনুভব করতে পারি। আমার মা জাহানারা জামান সরাসরি রাজনীতির সাথে তাঁর কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না। কিন্তু বাবা যেহুতু রাজনীতি করতেন এবং রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে পরিবারে সময় দিতে পারতেন না, আমার মা, বাবার সেই অপূর্ণতা কোন অনুভব করতে দেন নি। আমার বাবার রাজনৈতিক জীবনে ছায়াসঙ্গী হিসেবে কাজ করেছেন আমার মা। বাবাকে রাজনীতিতে অনুপ্রেরণাও দিয়েছেন তিনি। বাবার রাজনৈতিক জীবনের নেপথ্যে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন আমার মা। ধর্ণাঢ্য ও জোতদার পরিবারের মেয়ে ও জমিদার পরিবারের পুত্রবধূ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর জীবন-যাপন ছিলো আটপৌরে ও অতি সাধারণ।

তিনি আরো বলেন, আমার মা জাহানারা জামান রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকলেও ৭০সালের নির্বাচনে মহিলাদের নিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারাভিযানে অংশগ্রহন করেছিলেন। ৭৫এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও ০৩ নভেম্বর কারাভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর আমার মা অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার সঙ্গে আমাদের ভাই-বোনদের মানুষ করেছেন। বোনদের সুপাত্রস্থ করেছেন, যখন কিনা রাষ্ট্রযন্ত্রই আমাদের শত্রু ছিলো। তৎকালীন সময়ে সদ্য সেনা ছাউনি থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল বিএনপি আমাদের পরিবারের উপরে নানান রকম অত্যাচার-নীপিড়ন চালিয়েছিলো। কিন্তু আমার মা দমে যান নি, তিনি সাহসিকতার সাথে এই সকল প্রতিকুলতার মোকাবিলা করে আমাদের বড় করে তুলেছিলেন। আজকে ভাই-বোনেরা যারা যে অবস্থায় অবস্থান করছি, তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার মা এঁর। আমার মা এঁর কাছে আমরা চিরঋণী।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের এই স্মরণ সভায় আমার মা এঁর ব্যক্তি জীবনের কিছু কথা তুলে ধরছি। সন্তান হিসেবে আমি আমার মা এঁর কীর্তি নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে আমার, লেখা হবেও, যা আগামী প্রজন্ম তথা নারী সমাজ জেনে সমৃদ্ধ হবে ও রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনারা সতর্ক থাকবেন বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা আবারো দেশে ১/১১ সৃষ্টি করতে চায়। এই সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার শপথ নিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, হাবিবুর রহমান বাবু, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, হাফিজুর রহমান বাবু, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, কে এম জুয়েল জামান, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ইপফাৎ আরা কামাল, মালিহা জামান মালা, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন সহ নেতৃবৃন্দ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে