রাবিতে ৭০ বছরে মাত্র ১১টি সমাবর্তন, হতাশ শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩; সময়: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ |
রাবিতে ৭০ বছরে মাত্র ১১টি সমাবর্তন, হতাশ শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা সমাবর্তন পেয়েছে মাত্র ১১ বার। সর্বশেষ সমাবর্তনটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৯ সালে। গত ৪ বছরে সমাবর্তন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, প্রতিবছর সমাবর্তন আয়োজন করে মূল সনদপত্র প্রদান করা উচিৎ।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। এরপর যথাক্রমে ১৯৫৯, ১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৬৫, ১৯৭০, ১৯৯৮, ২০১২, ২০১৫, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সমাবর্তনে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি, এমবিবিএস, বিডিএস এবং ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উর্ত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডিগ্রী অর্জনের পরও মূল সনদপত্রের পরিবর্তে সাময়িক সনদপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হচ্ছে। নিয়মিত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় তারা হতাশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হতাশা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী সিফাতুল্লাহ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবের সাথে পাড়ি দিয়েছে দীর্ঘ ৬৯ বছরের পথ। কিন্তু প্রায় সাত দশকের এই সময়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ১১টি সমাবর্তন। এটা আসলেই হতাশাজনক। যার ফলে আমার আনুষ্ঠানিকভাবে মূল সনদ গ্রহণের সুযোগ হয়নি।

এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতা সদিচ্ছাকে দায়ী বলে মনে করছেন সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেফতাহুল জান্নাত মনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এক পরম চাওয়ার নাম সমাবর্তন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থীর কাছে সমাবর্তন মানে দারুণ উপভোগ্য এক অনুভূতি। কালো রঙের গাউন-টুপি পরে শিক্ষা সনদ গ্রহণ করা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা। এটা কর্তৃপক্ষের বড় ব্যর্থতা। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি দ্রুত আমাদের সমাবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লা বলেন, প্রতি বছরই স্নাতক, স্নাতকোত্তর পাস করে শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখছে। সেই শিক্ষার্থীরা চায় শিক্ষাজীবন শেষে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সনদ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে। তবে দুঃখের বিষয়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনিয়মিত হওয়ায় আমরা সেই সৌভাগ্য অর্জন করার সুযোগ পাইনি।

জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি যাতে সমাবর্তন তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠিত হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আসতে পারলে আমরা খুশি হবো। উনি যতক্ষণ সম্মতি না দিচ্ছে ততক্ষণ তো আমরা তারিখ ঘোষণা দিতে পারছি না।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে