ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভোটের মাঠে খেলতে চান হিরো আলম

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩; সময়: ১:৪৯ অপরাহ্ণ |
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভোটের মাঠে খেলতে চান হিরো আলম

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ‘হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জবাব দিয়েছেন গত সপ্তাহে বগুড়ার দুইটি আসনের উপনির্বাচন করে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম; যিনি হিরো আলম নামে সুপরিচিত।

বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিত হিরো আলম ইউটিউবে বিচিত্র অভিনয়, গান আর নাচ দেখিয়ে আলোচনায় থাকেন। সম্প্রতি তিনি বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হন। একটি আসরে অল্প ব্যবধানে হারলেও, অপরটির জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

তবে এর মধ্যে একটি আসনে মাত্র সাড়ে আটশ ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর তাকে ‘হারিয়ে দেয়া হয়েছে’ বলে তিনি অভিযোগ করেছেন হিরো আলম। এ আসনে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়ে আবেদনও করেছেন তিনি।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বগুড়া-৪ উপনির্বাচনে ভোট পুনঃগণনার আবেদন জমা দিতে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাপশি ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভোটের মাঠে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ জানান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত এ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আরও বলেন, ‘আমার নির্বাচনী ফলাফল তারা সুষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ করেনি। এ নিয়ে আমার সন্দেহ ছিল। তাই সবগুলো ভোট কেন্দ্রের ফলাফল আমি জোগাড় করেছি। কিছু কেন্দ্রে আমিসহ প্রায় সব প্রার্থী অস্বাভাবিক ভোট পেয়েছে। ওই কেন্দ্রগুলো উল্লেখ করে দিয়ে আমি জেলা প্রশাসকের কাছে ভোট পুনঃগণনার আবেদন দিয়েছি। তারা আমার আবেদন গ্রহণ করেছে। তবে কবে ফলাফল আবারও গণনা করবে সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি। যদি তারা সাড়া না দেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাবো।’

বিএনপি হিরো আলমের পক্ষে কাজ করছে কিনা গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমার পক্ষে কাজ করলে ভোটের দিন তারা মাঠেই থাকতো। বিএনপির কোন লোক আমার সাথে ছিলো না। এইসব কিছু লোকের বানানো কথা। শুধু বিএনপির মির্জা ফখরুল স্যার নয় সারা বিশ্ব ও বাংলাদেশ আমার পক্ষে কথা বলেছেন।

হিরো আলম আরও বলেন, ‘সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল স্যার বলেছেন, হিরো আলম জিরো হয়ে গিয়েছে। তবে হিরো আলম কখনও জিরো হয় না। যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গিয়েছে। সেতু মন্ত্রী আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। তবে একজন মন্ত্রী দেশের নাগরিককে তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে পারেন না। তিনি কথায় কথায় বলেন আসুন খেলা হবে। শক্তিশালী দলের সাথে খেলতে চান।

আমি ওবায়দুল স্যারকে জোর গলায় বলতে চাই, খেলা সবার সাথে করতে হবে না৷ আমি হিরো আলমের সাথে একটা নির্বাচনে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কিনা। খেলার জন্য নাকি উনি মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পান না৷ আমার সাথে একটু প্রতি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ভোটারদের ভয় না দেখিয়ে সুষ্ঠ ভোট দিয়ে দেখেন। উনি কেন আমাকে ছোট করে কথা বলেন। ওনাকে বলবো বগুড়া-৪ আসন থেকে ভোট করুন। আমাকে যেই আসন থেকে পরাজিত করে দেওয়া হয়েছে।’

হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আগামীতে ত্বত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।’

গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। বগুড়া- আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদ প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এর পরেই হিরো আলম অভিযোগ করেন যে এই আসনে ভোট সুষ্ঠু হলেও গণনার সময় ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে