উত্তরাঞ্চলে কৃষিশিল্পে চীনা বিনিয়োগ চান বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩; সময়: ১০:২৪ অপরাহ্ণ |
উত্তরাঞ্চলে কৃষিশিল্পে চীনা বিনিয়োগ চান বাণিজ্যমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানায় চীনা বিনিয়োগ চান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপন করলে চীনারা লাভবান হবেন।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও উইয়েন মতবিনিময় করতে এলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।

কিছুদিনের মধ্যে অঞ্চলটিতে গ্যাস সরবরাহও শুরু হবে। চীনা বিনিয়োগকারীরা চাইলে উত্তরাঞ্চল পরিদর্শন করে দেখতে পারেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা বলেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বৃহৎ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন বিনিয়োগ করে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে এবং এগুলোর বেশ কয়েকটির কাজ শেষের পথে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান বেশ ভালো। তবে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগ দরকার।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান নিয়েও কথা বলেন টিপু মুনশি। তিনি বলেন, এ ব্যবধানটা বাংলাদেশের অনেক বেশি প্রতিকূলে। বাংলাদেশ থেকে চীনে আরও রপ্তানির সুযোগ আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ চীনে রপ্তানি করেছে ৬৮ কোটি চার লাখ ডলারের পণ্য। একই অর্থবছরে দেশটি থেকে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৬২৫ কোটি ডলারের পণ্য। সে হিসাবে রপ্তানির তুলনায় চীন থেকে আমদানি করা হয় ৩৮ গুণ বেশি পণ্য।

বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের চামড়া, তথ্যপ্রযুক্তি ও হালকা প্রকৌশল খাতকে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে এসব খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান চীনের প্রতি। বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ খাতে বিনিয়োগ চীনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি প্রস্তুতি নিয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হবে। তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে এফটিএ বা অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধার (পিটিএ) মত বাণিজ্য চুক্তি করার দরকার পড়বে। এ জন্য কাজ চলছে।

এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও উইয়েন বলেন, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বৃহৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে চীন আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাবে। চীন এ ছাড়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে চীন ৯৮ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে বলেও জানান দেশটির রাষ্ট্রদূত। বলেন, বাংলাদেশ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে যৌথ কার্য দল কাজ করছে। বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতেও চীন আগ্রহী।

আগামী নভেম্বরে চীনের সাংহাইয়ে অনুষ্ঠেয় চায়না আমদানি মেলায় বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে