কুষ্টিয়ায় বিচারকের সঙ্গে ‘অশালীন আচরণ’ আইনজীবী নেতার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩; সময়: ৫:১৫ অপরাহ্ণ |
কুষ্টিয়ায় বিচারকের সঙ্গে ‘অশালীন আচরণ’ আইনজীবী নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার একটি আদালতের বিচারকের সাথে স্থানীয় আইনীজীবী সমিতির সভাপতি অশালীন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচারকরা তাৎক্ষণিক আদালত বর্জন করেন। তবে কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, আজ বুধবার বেলা সাড়ে বারোটায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কুদ্দুসের আদালতে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের তিন ধারায় ঋজু করা একটি মামলায় জামিন শুনানি চলছিল। বাদীপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট মুকাদ্দেস হোসেন মোকা ও সরোয়ার হোসেন। শুনানি শেষে আদালত মামলার আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, এ মামলাটি ইতিমধ্যে বাদী ও বিবাদী পক্ষ আপোষ রফা করে নিয়েছে। আপস নামার কপিও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও আসামিদের জামিন না দেওয়ায় জেল আজ ওকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায় তাদের আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হন।

এ খবর শুনে তৎক্ষণাৎ কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম দুলাল আরও কয়েকজন আইনজীবীকে সাথে নিয়ে ওই আদালতে যান। তিনি একটি আপস হয়ে যাওয়া মামলায় আসামিকে কেন জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন আদালতের বিচারককে।

এ সময় আদালতের বিচারক ও ওই আইনজীবী নেতার মধ্যে তীব্র মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম দুলাল ওই বিচারককে মারার হুমকি দেন। এসময় দ্রুত এজলাস থেকে নেমে যান অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কুদ্দুস। পরে অন্যান্য আদালতের বিচারকরাও আদালত বর্জন করেন। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা প্রকাশ্যে কোন কিছু বলতে চাইছেন না।

ওই আদালতের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পেশকার কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালতের ভিতরে আইনজীবী সাথে বিচারকের সামান্য একটু হট্টগোল হয়েছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

একজন আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় তিন মাস আগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম দুলাল প্রকাশ্য আদালতে একজন বিচারককে হাত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তখন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম দুলাল বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে মাথা ঘামানো দরকার নেই। বিচারক কমপ্লেন না করলে আপনারা কিছু লিখবেন না। বিচারক এবং আইনজীবী সমিতির মধ্যে সমন্বয় থাকলে কোন কিছুই না। সে ক্ষেত্রে বিচারকও আইনজীবীদের দুটো কথা বলতে পারে আবার আইনজীবীরাও বিচারকদের দুটো কথা বলতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে