সৌর সেচ পাম্প বাঁচিয়ে দিল কৃষকের খরচ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩; সময়: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
সৌর সেচ পাম্প বাঁচিয়ে দিল কৃষকের খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সেই লক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সেচ বিভাগের আওতায় চাঁদপুরের কচুয়ায় সৌর সেচ পাম্পে কৃষকের ব্যয় সাশ্রয়ী হচ্ছে। কুমিল্লা-চাঁদপুর ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মালচোয়া গ্রামে কিউসেক সোলার এলএলপি সেচ স্ক্রীম স্থাপন করা হয়েছে। এতে ওই এলাকার ৩০ একর জমির বোরো আবাদ সম্ভব হচ্ছে।

জানা যায়, এই সেচ পাম্প দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইন দিয়ে পানি সরবরাহ করায়, পানির অপচয় রোধ ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক হাজার মিটার ব্যারিড পাইপ বাস্তবায়ন হওয়ায় নতুন করে ৩০ একর জমি বোরো আবাদ করা সম্ভব। এ উপজেলা মালাচোয়া গ্রামে ১ম বারের মতো সৌর সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

পরবর্তীতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের বৈদ্যুতিক সাশ্রয়ে এ পাম্প স্থাপন করা হবে। সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে জমিতে পানি দিতে পেরে খুশি কৃষকেরা। এই সেচ পাম্পের সাহায্যে ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত পাম্পের চেয়ে অর্ধেক মূল্যে জমিতে পানি দিতে পারেন তাঁরা। উপজেলার মালচোয়া গ্রামে সোলার সেচ স্কিমে ৩০ একর কৃষিজমিতে বিএডিসি সৌর প্যানেলের মাধ্যমে পাম্প স্থাপন করে। এখানে শতাধিক কৃষক রয়েছেন। এ সৌর সেচ পাম্পের মাধ্যমে বোরো আবাদকে ৩০ একর জমিতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

সৌর পাম্প স্ক্রীম ম্যানেজার মো. মহিউদ্দিন হোসেন জানান, সৌর সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দেওয়া বাবদ প্রতি ৬শতাংশ ২শ টাকা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পের চেয়ে কৃষকের প্রায় অর্ধেক টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

মালচোয়া গ্রামের কৃষকরা জানান, তাদের জমিতে ৩০ টাকা হারে প্রতি শতাংশ জমিতে পানি দিচ্ছেন। সৌর সেচ পাম্পে পানি দিতে পারলে তাঁদের অর্ধেক খরচ হয়। বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পে আমাদের অনেক টাকা ব্যয় হতো,বর্তমানে সৌর সেচ পাম্পে অনেক সাশ্রয়ী হচ্ছে বলেও জানান তারা।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বিএডিসির মাধ্যমে কৃষকদের উপকারে সৌর সেচ পাম্প স্থাপনে আমিও সহযোগিতা করেছি। বিশেষ করে এ অঞ্চলের কৃষকরা বৈদ্যুতিক ও ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের চেয়ে অর্ধেক সাশ্রয়ী হবে। এতে করে এ অঞ্চলের প্রায় শতাধিক কৃষকরা উপকৃত হবে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, ভূ-উপরন্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি সরকারের পরিবেশবান্ধব প্রকল্প। এর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ, বিদ্যুৎ সংকটের চাপ কমানো, পানির অপচয় রোধ হচ্ছে। তাছাড়া সোলার প্যানেলের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার করায় বিদ্যুৎ ও ডিজেলের তুলনায় সেচ চার্জ ব্যয় কম হয়। এতে কৃষকরা অনেক উপকৃত হবে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে