নাটোরে পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো ফাঁসানোর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরে পাওনা প্রায় ২১ লাখ টাকা চাওয়ায় তা না দিয়ে উল্টো টাকা দাবী করে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন ইমদাদুল হক এক আম ও মাছ ব্যবসায়ী।
সোমবার নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভুগি ইমদাদুল হক এমন অভিযোগ করেছেন।
জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার চক তকিনগর গ্রামের ওয়াজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ইমদাদুল হক বলেন, আমের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে একই গ্রামের তার খালাতো শ্যালক মিজানুর রহমান ওরফে সুজন এর পাঁচ লাখ বাহাত্তর হাজার পাওনা হয়।
এ ছাড়া স্ট্যাম্পে লেখাপড়া করে সে আরো ছয় লাখ নব্বই হাজার ধার নেয় এবং নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের একটি পুকুরের মাছসহ লিজ লিজ নেয়ার এক লাখ বিশ হাজারসহ মোট প্রায় ১৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ইমামুল ইসলামের জর্ডান প্রবাসী স্ত্রী বিপদ গ্রস্থ হওয়ায় তার নিকট থেকে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে সাত লাখ টাকা ধার হিসেবে নিয়ে আজ পর্যন্ত ফেরত দেয়নি। এদের দুজনের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় তারা টাকা না দিয়ে উল্টো তার কাছেই টাকা পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
ইমদাদুল হক বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য হিসেবে আমাদের দুই নিকট জন নির্বাচন করেন। তিনি বিজয়ী হেলাল উদ্দিনের পক্ষে এবং প্রতিপক্ষরা পরাজিত প্রার্থী মকবুল হোসেন বাদশার পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই তারা আমার সাথে বিরোধীতা শুরু করেন। তিনি প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান সুজন ও ইমামুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের কাছে ইমদাদুল হক কোন টাকা পাবেন না। উপরুন্তু তারাই টাকা পাবেন। বিদেশে চাকরী দেওয়ার নাম করে তাদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইমদাদুল হক।