চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজও সাক্ষ্য হয়নি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩; সময়: ২:৪০ অপরাহ্ণ |
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজও সাক্ষ্য হয়নি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। রোববার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহীনুর আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী,আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন সোহেল। সেসময় তাকে ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও প্রবেশের চেষ্টা করেন তিনি। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আসামি আদনান সিদ্দিকী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট শুনানি শেষে রায় দেন বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় ও হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে