ট্যাংকের প্রতিশ্রুতির পর ইউক্রেনে উত্তপ্ত হচ্ছে লড়াই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩; সময়: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ |
ট্যাংকের প্রতিশ্রুতির পর ইউক্রেনে উত্তপ্ত হচ্ছে লড়াই

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর পশ্চিমা ঘোষণার পর দেশটির পূর্বে ও উত্তর-পূর্বে রাশিয়ান সেনাদের সাথে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর লড়াই আরও জোরদার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) কিয়েভ জানায়, মিসাইল ও ড্রোন হামলায় ১১ জন নিহত হওয়ার একদিন পর মারাত্মক যুদ্ধ চলছে, যাকে ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রতিশ্রুতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখছে তারা।

ডোনেৎস্ক অঞ্চলের বোহোয়াইভলেনকা গ্রামে ভুলেদার শহরের চারপাশে লড়াই তীব্র চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। রাশিয়ান সৈন্যরা ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়ার এবং শহর দখল করার চেষ্টা করছে বলে দাবি তাদের।

খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনহুবভ বলেছেন, সেখানে সামনের সারিতে প্রচণ্ড লড়াই চলছে কিন্তু ইউক্রেনের বাহিনী তা আটকে রেখেছে।

ইউক্রেন সেনাবাহিনীর ৬৮তম ব্রিগেডের মুখপাত্র ইয়েভেন নাজারেনকো রয়টার্সকে বলেছেন, গত ২৪ ঘন্টায় ভুলেদার তীব্র গোলাগুলির মধ্যে পড়েছে। এতে সাতটি ভবন এবং দুটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহের টানাপোড়েনের পর জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে জানায়, তারা রাশিয়ান বাহিনীকে পিছনে ঠেলতে সাহায্য করার জন্য ইউক্রেনকে ডজন ডজন আধুনিক ট্যাঙ্ক পাঠাবে, যা অন্যান্য দেশগুলোর জন্যও একই কাজ করার পথ খুলে দেবে।

পোল্যান্ড শুক্রবার ইউক্রেনকে ৬০টি ট্যাঙ্ক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউক্রেনকে আরও উত্সাহিত করেছে।

শুক্রবার বিএফএম টেলিভিশনে ফ্রান্সে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম ওমেলচেঙ্কো বলেন, বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনকে মোট ৩২১টি ভারী ট্যাঙ্ক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এফ১৬ যুদ্ধবিমানও চেয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, সরকার ইউক্রেনের অনুরোধ সম্পর্কে অবগত। তবে এখনকার মতো তাদের কাছে কোনও অতিরিক্ত অস্ত্র ব্যবস্থা নেই বলে জানান তিনি।

যুদ্ধে উভয়পক্ষই বসন্তে নতুন আক্রমণ শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে সর্বশেষ অস্ত্র না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ হতেও কয়েকমাস সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সাথে জার্মান চ্যান্সেলরের সাক্ষাৎ

কিয়েভকে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছে মস্কো। অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র উপায় হল যুদ্ধ জয়ের জন্য অস্ত্র দেয়া।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি অত্যন্ত তীব্র, বিশেষ করে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে