বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে আন্দোলন বেগবান হবে: টুকু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩; সময়: ৬:০৭ অপরাহ্ণ |
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে আন্দোলন বেগবান হবে: টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে আন্দোলন বেগবানের ডাক দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বুধবার (২৫ জানুয়ারী) বিকেল ৪ টার দিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য এই ডাক দেন।

টুকু বলেন, বাংলাদেশ মানুষ যে গণতন্ত্র জন্য যুদ্ধ করছে ৭৫ এর এই দিনে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিলো। একদলীয় শাসন কায়েক করেছিলো। এই সরকার ও নেতারা তথাকথিত সুশিল সমাজরা ৭২ এর শাসন তন্ত্রের কথা বলে। ৭২ এর শাসন তন্ত্রের কায়েম করেছিলো আওয়ামী লীগ। ৯৬ এ আওয়ামী লীগ তত্ত্ববধায়ক সরকার কায়েম করে সরকারে এসেছিলো। বিএনপি তা এনে দিয়ে বিরোধী দলে ছিলেন।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্যে করে টুকু আরো বলেন, আপনার কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন রাতে ভোট চুরি করেন। আবার কেমন করে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসবে তার জন্যও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আজকে রাজশাহীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ীতে হানা দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির জনসভা মাঠের জন্য আমাদের অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। মিনুর নেতৃত্বে পুলিশ কমিশনার, ডিসির কাছে যাওয়া হলে তাদের অফিসে পাইসি। একদিন আগে মঞ্চ তৈরীর অনুমতি মিলে। তাতেও লক্ষ লক্ষ জনগণ সমাবেশে এসে সাফল্য মন্ডিত করেছে।

আজকে আওয়ামী লীগ সাদা কাপড় দিয়ে ডেকে মঞ্চ তৈরী করছে। প্রকাশ্যে মঞ্চ তৈরী করতে পারেন না। প্রকাশে মঞ্চ তৈরীতে ভয় কেনো? আপনার লুটপাট করে প্রসাদ গড়েছেন। টাকাটা রিকশাওয়ালার দিনমজুরদের । আপনারা বলেন উন্নয়নের সরকার। আপনারা কনক্রিটের উন্নয়ন করেছে এতে মানুষ মারা যায়। ট্যাক্স ফিসহ সব বাড়িয়ে জনগণ কোন রকম বেঁচে আছে।

লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারে না। আওয়ামী লীগের কোন দিন গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তারা যেটা বেশী বলে সেটা তারা করে না। ২০১৪-১৮ সালে জোড় করে ক্ষমতায় গেছে। আবারও তারা সেই নকশা করছে। ১০ দফাসহ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের একমাত্র পথ হবে রাজপথ। গায়েবী মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে। এই সরকার জুলুমবাজ ও নির্যাতনের সরকার। এই সরকারের অধিনে কারো স্বাধীনতা নাই।

তিনি বলেন আমাদের রাজশাহী থেকে সরকার কে পদত্যাগে বাধ্যকরা হবে। চোরের মার বড় গলা। জনগণ কে কিভাবে শোষন করবে সেটাই তারা জানে।

রাজশাহী মহানর নগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যা. এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু।

মিনু তার বক্তব্যে বলেন, আজকের সরকার জোর করে দেশ পরিচালনা করছেন। তারেক রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যে ডাক দিয়েছে আমার তার সঙ্গে আছি। আমাদের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কঠিন সময়ে আছে তাকে বের করাসহ সকল আন্দোলনে আমাদের থাকতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক রহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এই সরকারের সব কিছুই বাকশাল। আজকের গণহত্যার বিরুদ্ধে এই সমাবেশ। ৭৫ সালের এই দিনে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলো। শেখ মুজিব ১২ মিনিট গণতন্ত্র হত্যা করেছিলো আজ হাসিনা গণতন্ত্র উধাও করে দিয়েছে।

রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ গাড়ী ঘোড়া বন্ধ করে দিয়েছিলো। একটি মিটিং এর জন্য একটা স্পেশাল ট্রেন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির অন্য জায়গা হতে লোক আনার দরকার প্রয়োজন হয়নি। স্কুল কলেজ বন্ধ করে নাকি লোক নিয়ে আসা হবে। এই লোক নিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আমাদের লোকরা হেঁটে সমাবেশে এসেছে।

দুলু আরো বলেন, আমদের সমাবেশ টাকা দিয়ে, প্লেন ভাড়া করে লোক নিয়ে আসা হয়নি। এই সরকার যাদের ঘর দিয়েছে তাদের আনতে বাধ্য করা হচ্ছে। পরে তিনি বলেন, তারেক রহমান গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যে কাজ করছে তার সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।

বিএনপির সমাবেশ রাজশাহী জেলা, মহাগর বিএনপি ও সহযোগী অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বাবু বিশ্বনাথ সরকার।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে