নিয়ামতপুরে সঃপ্রাঃবিঃ প্রধান শিক্ষক আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩; সময়: ২:৫৭ অপরাহ্ণ |
নিয়ামতপুরে সঃপ্রাঃবিঃ প্রধান শিক্ষক আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : নিয়ামতপুর শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর সে শিক্ষা যারা প্রদান করেন, যাদের জাতির বিবেক বলা হয়, তারা হলেন শিক্ষক। সে শিক্ষক যখন সবচেয়ে জঘন্য কাজ করেন তাকে কি বলা যাবে? শুনেছি বিশ^কাপে গোল দিয়ে হ্যাট্রিক করেছে। বিশ^কাপ জয় করে হ্যাট্রিক করেছে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে হ্যাট্রিক করেছে।

অথচ পরকয়িায় হ্যাট্রিক করেছে এই প্রধম। তাও আবার জাতির বিবেক একজন শিক্ষক। এমনটি একজন শিক্ষক সমাজের সবচেয়ে জঘন্য কাজ করে হ্যাট্রিক করেছেন। তিনি উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আদমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পাড়ইল ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমান মতির ছেলে আলাউদ্দিন।

সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১০টার সময় একই গ্রামের জিয়াউল হক শুকুরের স্ত্রী লুৎফুন (৩০) এর সাথে জিয়াউল হকের বাড়ীর বাইরে আপত্তিকর অবস্থায় জিয়াউল হক নিজেই তার স্ত্রী ও আলাউদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে চিৎকার দিতে শুরু করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে আলাউদ্দিন ও লুৎফুনকে আটকে রাখার চেষ্ট করলে আলাউদ্দিন কোন রকমে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ট করা হয়। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। একজন শিক্ষক হয়ে বার বার এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে যাবে তা হতে পারে না। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী কালামের স্ত্রী মাজেদা বলেন, শুকুরের চিৎকার শুনে আমরা মনে করেছিলাম চোর এসেছে, তাই আমরা বাইরে আসলে দিখে জিয়াউলের স্ত্রী লুৎফুন ও মাষ্টার আলাউদ্দিনকে জিয়াউল চাপটে ধরে রেখেছে। লুৎফন ও আলাউদ্দিন তখন বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলো। পরে আলাউদ্দিন কোন রকমে পালিয়ে যায়।

আদমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরকীয়ায় হ্যাট্রিককারী আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে হ্যানস্তা করার জন্য এলাকার কিছু মানুষ মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে জিয়াউল হকের বাড়ীতে সরেজমিনে গেলে তারা এ প্রতিবেদকের সাথে কোন কথা বলতে রাজী হননি। বরং রাগান্বিত হয়ে জিয়াউল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, এখন কিছু বলা যাবে না। আমার মাথা ঠিক নাই। সময় হলে আপনাদের ডাকা হবে।

লুৎফুনের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মরশিভ’জা গ্রামে। আমি ঘটনাটি শুনার পর মেয়ের বাড়ীতে এসেছি। এখন আমি কিছু বলতে পারবো না। পরে জানাবো।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই। আসলে দেখা যাবে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, আলাউদ্দিন ইতি পূবে ১০/১১ বছর পূর্বে একই গ্রামের শরিফুলের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় ধরা খেয়ে ৩৫ হাজার টাকা এবং এক মাস পূর্বে তজিবরের স্ত্রীর সাথে ধরা খেয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে