বেলকুচিতে নাবিল হামলা মামলার প্রতিবেদন জমা দিলাে পিবিআই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩; সময়: ৫:১৬ অপরাহ্ণ |
বেলকুচিতে নাবিল হামলা মামলার প্রতিবেদন জমা দিলাে পিবিআই
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আলােচিত পত্রিকার এজেন্টের ছেলে নাবিল মন্ডলের উপর সন্ত্রাসী হামলা মামলার অধিকরত তদন্ত শেষে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ।
অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে আলাের মুখ দেখতে যাচ্ছে মামলাটি। ঘটনার সাথে জড়িত প্রভাবশালী মুল আসামীদেরই এতে অভিযুক্ত করায় জনগনের মাঝে সন্তুষ্টি বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
গত বছর ১০ জুন বেলকুচির চালা আদালত ভবনের সামনে শাফিন কনফেকশনারীতে বসে থাকা অবস্থায় সস্ত্রাসীদের হামলার স্বীকার হন উপজেলায় সকল পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মন্ডলের পুত্র নাবিন মন্ডল।
হামলার পর উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে, পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিলেও মামলা নিতে গরিমসি করেন তৎকালিন ওসি।
পরে সাংবাদিকদের অনুরােধে মামলা নিলেও মূল আসামীর নাম বাদ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেন সেই ওসি গােলাম মােস্তফা। বাদি না রাজি দিলে মামলাটি ডিবিতে পাঠিয়ে দেন আদালত। তার এক সপ্তাহ পরে ডিবি মামলাটি ফেরত দিলে আদালত আবার গত বছরের ৮ আগষ্ট পিবিআইকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন।
মামলার বাদী নাবিন মন্ডল বলেন, গত বছরের ১০ জুন আমার দােকান শাফিন কনফেকশনারীতে থাকাকালে স্থানীয় এমপি মমিন মন্ডলের লােকজন ও মন্ডল গ্রুপের জিএম ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম আমার নাম ধরে ডাকাডাকি ও গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলের নির্দেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহাদত হােসেন মুন্নাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। তখন স্থানীয়রা আমার চিৎকারে এগিয়ে এসে উদ্ধার করে প্রথমে বেলকুচি উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
তখন স্থানীয় এমপি ডাক্তারদের নিষেধ করলে আমি চিকিৎসা না পেয়ে পরবর্তিতে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই।
পরে আমি সুস্থ হয়ে গিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে তৎকালীন ওসি গোলাম মোস্তফা মামলা নিতে রাজি হয়না। অনেক ঘােরাঘুরির পর সাংবাদিকদের অনুরােধে মামলা নিলেও মূল আসামীদের নাম প্রতিবেদন থেকে কেটে দেয়।
আমি নারাজি দিলে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন। পরে তারা সন্তোষজনক চার্যশীট দাখিল করে।
এদিকে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সােহেল রানা বলেন, গত বছরের ৮ আগষ্ট এই মামলাটি আদালত আমাদের কাছে তদন্তের জন্য দেয়।
আমি মামলাটি সার্বিক তদন্ত করে প্রমাণ, জখমীর জখম পর্যবেক্ষণ সহ চিকিৎসার সনদপত্র পর্যালােচনা, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্য মােতাবেক বিজ্ঞ আদালত গ্রহণকৃত জবানবন্দি এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা উল্লেখ করে আদালতে প্রকৃত জড়িতদের দায়ী করে প্রতিবদন জমা দিয়েছি।
হামলা মামলায় দায়ী হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম (৪২),  শাহাদত হােসন মুন্না (৪২), ইয়াছিন (৩২), আকতার হােসেন (২৮), হযরত আলী (২৬), সৌরভ (৩২), সবুজ (৩২),  আলমাছ (৩০),  সাকিবুর রহমান সজিব (২৮), আসাদুল ইসলাম মল্লিক (২৮), সােলায়মান (২৮) আসামী করা হয়েছে।
তবে সাংবাদিকগন ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য বারবার যােগাযােগ করার চেষ্টা করলেও তিনি তার ব্যবহৃত ফােনটি রিসিভ করেননি।
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে