সৌদিতে টুইটার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করায় মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩; সময়: ৪:০১ অপরাহ্ণ |
সৌদিতে টুইটার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করায় মৃত্যুদণ্ড

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে আওয়াদ আল-কুরনি নামে এক সংস্কারবাদী প্রফেসরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার অপরাধ তিনি টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে এবং খবর শেয়ার করে সৌদির বিরুদ্ধে ‘নাশকতা’ করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান রোববার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়াদ আল-কুরনিকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছর সংস্কারবাদীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

আল-কুরনির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোর বিস্তারিত গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন তার ছেলে নাসের আল-কুরনি।

গত বছর সৌদি ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। নাসের জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে এখন রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার প্রত্যাশায় আছেন।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বর্তমান সৌদির সংবাদমাধ্যমগলোতে আল-কুরনিকে একজন বিপজ্জনক ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়। তবে সংস্কারবাদীরা দাবি করেন, তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। যাকে টুইটারে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ফলো করতেন।

এর আগে টুইটার ব্যবহার করায় গত বছর সালমা-আল-শিহাব নামে এক নারীকে ৩৪ বছর এবং নোরা-আল-কাহতানি নামে অপর এক নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আল-কুরনির মামলার নথি ঘেটে গার্ডিয়ান জানতে পেরেছে, মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৭ সালে ক্রাউন প্রিন্স হন। এরপরই দেশটিতে টুইটার, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় করেন।

গার্ডিয়ান আরও জানিয়েছে, নিজ নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখলেও, টুইটার ও ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে সৌদি সরকার। যে বিনিয়োগের পরিমাণ বছর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে