পাবনায় রিকশাচালক হত্যায় অস্ত্রসহ ৩ আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩; সময়: ৩:০৫ অপরাহ্ণ |
পাবনায় রিকশাচালক হত্যায় অস্ত্রসহ ৩ আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা  : পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকাশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঈশ্বরদী পৌর সদরের শৈলপাড়া মহল্লার আনোয়ার উদ্দিন (৩৫), আকরাম হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৬) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাকিবুর ইসলাম সাকিব (১৭)।

গতকাল শনিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।

তিনি বলেন, ৪ জানুয়ারী রাতে ঈশ্বরদীর পশ্চিম টেংরি এলাকায় ভুটভুটি ও পিকআপের সংঘর্ষে পিকআপের সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। তার ক্ষতিপূরণ আদায় করা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে আনোয়ারের শ্যালক সুজনের কথা কাটাকাটি হয়। সুজন ফোনে তার দুলাভাই আনোয়ার উদ্দিনকে জানালে তিনি তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আনোয়ারের গুলিতে রিকশাচালক মামুন মারা যায়।

ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত তিনদিনে অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া থেকে আনোয়ার, পাকশী থেকে ইব্রাহিম ও রাজশাহীর চারঘাট থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি।

গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার এর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় চুরি, মাদক ও মারামারির চারটি মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত ইব্রাহিম হত্যায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

৪ জানুয়ারি রাতে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত নসিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবি, তাঁদের মধ্যে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি ও সুমন হোসেন নামে আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে রকিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। সুমন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় যুবলীগ নেতা এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে গুলি করার হুকুম দেওয়ার অভিযোগে প্রধান আসামি এবং তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে