অ্যাপল ওয়াচের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩; সময়: ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ |
অ্যাপল ওয়াচের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অ্যাপল ওয়াচ নানা ফিচারে ভরা। স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত জানানো থেকে শুরু করে ফোনে কথা বলা কিংবা রোজের ওয়ার্ক আউট নজর রাখার মতো নানান কঠিন বিষয়ই সামলে দেয় দক্ষতার সঙ্গে। এসওএস ফিচারের মাধ্যমে ইতিমধ্য়েই বহু প্রাণ বাঁচিয়েছে এই স্মার্ট হাতঘড়ি। আর এই ফিচারপ্যাকড স্মার্টওয়াচের বিরুদ্ধেই উঠল গুরুতর অভিযোগ। যে প্রযুক্তির দৌলতে এত স্মার্টনেস অ্যাপলের, সেই প্রযুক্তি নাকি আদতে চুরি করা, এমনই অভিযোগ তুলে এবার আদালতের দ্বারস্থ হল মার্কিন এক মেডিক্যাল টেক সংস্থা।

অনেকদিন ধরেই অ্যাপল ওয়াচের বিরুদ্ধে পেটেন্ট চুরির অভিযোগ তুলে আসছে আমেরিকার মেডিক্যাল টেক সংস্থা মাসিমো। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মার্কিন আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছে তারা। আর সেই আদালতেই এবার বড় ধাক্কা খেল অ্যাপল। ওই মামলায় অ্যাপলকে দোষীসাব্যস্ত করেছে আদালত।

পরবর্তী ধাপে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে ইউনাইটেড স্টেট ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন। আমেরিকার এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। ফলে তাদের তদন্তের ফলাফল আদালতের সিদ্ধান্তের থেকে আলাদা হতেই পারে। তবে তাদের তদন্ত-রিপোর্টেও যদি দোষী সাব্যস্ত হয় অ্যাপল, তবে বড়সড় সমস্যায় পড়তে পারে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬ ও তার পরবর্তী মডেলগুলোকে।

আমেরিকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই মাসিমোর তৈরি অক্সিজেন সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ওই টেক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, তাদের বেশ কিছু কর্মীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল অ্যাপল। সেসব কর্মীকে ফাঁসিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ওই প্রযুক্তির তথ্য চুরি করেছে আইফোন প্রতিষ্ঠানটি।

এমনকি মাসিমোর চিফ মেডিক্যাল অফিসারকে নিজের সংস্থায় নিয়োগ করেছিল অ্যাপল। সব মিলিয়ে অ্যাপলের বিরুদ্ধে দশটি আলাদা আলাদা পেটেন্ট চুরির অভিযোগ এনেছে মাসিমো। সেই মামলাতেই অ্যাপলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আদালত।

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন। আর সেই তদন্ত রিপোর্টের উপরেই আপাতত ঝুলছে অ্যাপল ওয়াচের ভাগ্য। তবে কবে নাগাদ সেই তদন্ত রিপোর্ট মিলবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও পাকাপোক্ত খবর মেলেনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে