গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বারি-৫ চাষের মাঠ দিবস উদযাপন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩; সময়: ৫:১৬ অপরাহ্ণ |
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বারি-৫ চাষের মাঠ দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুজানগর : পাবনায় গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষে আশার আলো দেখছেন চাষীরা। দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউট উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল বারি পেঁয়াজ-৫, যা সারা বছর চাষীরা আবাদ করতে পারবে। এ জাতের পেঁয়াজ আবাদ করে সফল হয়েছে চাষী, তাই ভালো ফলনের পাশাপাশি অধিক লাভবান হওয়ার আশা চাষীদের।

নতুন জাত হিসাবে চাষীদের মন কেড়েছে এই জাতের পেঁয়াজ।বিশ^ ব্যাংক এবং ”পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)” এর অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘‘পাবনা প্রতিশ্রুতি’’ কর্তৃক বাস্তবায়িত সাসটেইনেবল এন্টারপ্রইজ প্রজেক্ট এর আওতায় পাবনা জেলায় টেকসই পেঁয়াজ উৎপাদনমূলক উপ-প্রকল্পের উদ্যোগে গত ০৯ জানুয়ারী পাবনার সাথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের কড়িয়াল গ্রামে বছরব্যাপি পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যে বারি পেঁয়াজ-৫ এর বাল্ব (প্রদর্শনী) উৎপাদনের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

পাবনা প্রতিশ্রুতি সংস্থার পরিচালক মনির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ ড. সাইফুল আলম উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, খামারবাড়ী, পাবনা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান অতিরিক্ত উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, খামারবাড়ী, পাবনা, কৃষিবিদ সঞ্জীব কুমার গোস্বামী, উপজেলা কৃষি অফিসার, সাথিয়া, পাবনা ও কৃষিবিদ ফারুক হোসেন চৌধুরী কৃষি সম্প্রসাারণ অফিসার, সাথিয়া, পাবনা, খোন্দকার বোরহানুর হাসান, উপ-পরিচালক, পাবনা প্রতিশ্রুতি, পাবনা।

কৃষাণী জাহানারা খাতুন ও জোসনা খাতুনের মাঠের উৎপাদিত বারি পেঁয়াজ-৫ এর ফলন দেখে অন্য কৃষক-কৃষাণীরা উদ্বুদ্ধ হন। উলেখ্য যে উৎপাদিত ৫ টি পেঁয়াজের ওজন হয় ৯৯০ গ্রাম (প্রায় ১ কেজি) এবং পাতা সহ ওজন হয় ১.৬ কেজি।

কৃষকেরা আশা করছেন উক্ত জাতের পেঁয়াজে প্রতি একরে ৩০০-৩২০ মন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। উক্ত জাতের পেঁয়াজের চারা লাগানো থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত সময় লেগেছে ৮০ দিন।

গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন পদ্ধতি ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন, কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান অতিরিক্ত উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, খামারবাড়ী, পাবনা ও জনাব সঞ্জীব কুমার গোস্বামী, উপজেলা কৃষি অফিসার, সাথিয়া, পাবনা।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিবিদ ড. সাইফুল আলম বলেন যে, বছরব্যাপি এই গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের জাতটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হবে।

এজন্য প্রয়োজন কৃষি গবেষনা প্রতিষ্ঠান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমুহের সম্মিলিত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা। পাবনা প্রতিশ্রুতি’র পরিচালক জনাব মো: মনির হোসেন বলেন, আমরা আশাবাদি পরবর্তী বছর থেকে পাবনা জেলার সকল পেঁয়াজ চাষীরা সারা বছর বারি-৫ পেঁয়াজ চাষ করবেন।

তিনি পাবনা প্রতিশ্রুতির পক্ষ থেকে উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, খামারবাড়ী, পাবনা ও উপজেলা কৃষি অফিসার, সাথিয়া, পাবনাসহ উপস্থিত সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।

এছাড়া মসলা গবেষনা কেন্দ্রের কর্মকর্তাগনের সার্বিক সহযোগিতা ও উপজেলা কৃষি কর্মকতগন যেভাবে সরাসরি মাঠে গিয়ে বারি পেঁয়াজ-৫ চাষে আমাদের কৃষকদের সহযোগিতা ও বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছেন তার জন্য তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বারি পেঁয়াজ-৫ চাষে কৃষকগন সফল হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে