এই সরকারকে সরাতে হবে : গয়েশ্বর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩; সময়: ১১:২১ অপরাহ্ণ |
এই সরকারকে সরাতে হবে : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এ দেশের মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। কে ক্ষমতায় এল কি এল না এটা বিএনপির কাছে মুখ্য বিষয় না, বিষয় হলো নিরপেক্ষ নির্বাচন। এতে বাধা হচ্ছে বর্তমান সরকার। তারা বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সরকার সরাতে হবে।

সোমবার দুপুরে রাজশাহী নগরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ‘১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ নিয়ে এই সভার আয়োজন করে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি। সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ১০ দফা ও ২৭টি রূপরেখা নেতা-কর্মীদের ব্যাখ্যা করে শোনান।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন, ত্রাণ ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ, সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগরের সদস্যসচিব মো. মামুন-অর-রশীদ প্রমুখ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সভায় বলেন, ‘১৯৯৬ সালে জামায়াতে ইসলামী প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল উত্থাপন করে। তখন তৎকালীন জাতীয় পার্টির নেতা মওদুদ আহমদসহ কয়েকজন এই বিষয়টি শেখ হাসিনাকে বোঝান। পরে তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলে।

‘তখন খালেদা জিয়া মাত্র আড়াই মাস ক্ষমতায় ছিলেন। এই আড়াই মাসের মধ্যে সংসদে থেকে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সংবিধানে এনে বঙ্গভবনে গিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন। আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। তাঁরা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নানা কথা বলে থাকেন।’

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘যে (পুলিশ) আমাকে নিরাপত্তা দেবে, দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন যার প্রথম শপথ; সে কীভাবে আমার নিরাপত্তা নিয়ে কাড়াকাড়ি করে। সে কিনা সন্ত্রাসীদের কাজ করে দেয়। সে কিনা আবার ভোট রাতের বেলায় নেয়।

‘আমাকে পাহারা দেবে যাতে আমি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারি। সেই ভোটের কী মহোৎসব। পুলিশ ভোট ভাগ করে নিয়েছে। ভাগ করতে গিয়ে দেখা গেছে শতভাগ না ১১৩ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। মরা মানুষও ভোট দিয়েছে। কিন্তু সেই ভোট করতে দেওয়া হবে না। এ জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার।’

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশে এখন আর অস্ত্র নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি হয় না, ব্যাংকের পুরো কোষাগার খালি করে দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো সময় ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া ঘোষণা দেওয়া হবে। সার, ডিজেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সবকিছু দাম বেড়েছে। উৎপাদন খরচের থেকে মূল্য কম হওয়ায় কৃষকজমিতেই ফসল ফেলে রেখে পচাচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে