কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩; সময়: ৩:০২ অপরাহ্ণ |
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী : পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পৌর পরিষদের উদ্যোগে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্যানেল মেয়র আবুল হাশেম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম সাবু, জাহাঙ্গীর আলম, আমিনুর রহমান, ওয়াকিল আলম, আব্দুল লতিফ মিন্টু, আবু জাহীদ, ইউসুফ আলী, নারী কাউন্সিলর ফরিদা ইয়াসমিন, রহিমা খাতুন, ফিরোজা বেগম, পৌর সচিব জহুরুল হক প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কড়ইতলা এলাকায় নছিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচলের বিষয়ে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত ভাবে মামুন হোসেন নামের একজন ব্যক্তি খুন হয়। পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সেই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হত্যাকান্ডের পর রাতেই কড়ইতলা এলাকা এবং ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্ষতিগ্রস্থদের কেউ কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের নাম বলেনি। অথচ হত্যাকান্ডের রাতেই নিজের বাড়িতে অবস্থান করা কামাল উদ্দিনসহ তার ভাতিজাসহ আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী। পরবর্তীতে ঈশ্বরদী থানায় দায়েরকৃত মামলায় কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, হত্যাকান্ডের সময় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে ছিলেন না। হত্যাকান্ডের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন বলেও আমাদের মনে হয়। অথচ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে মূলকভাবে ঈশ্বরদী পৌরসভার একজন জনপ্রিয় কাউন্সিলরকে হত্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর কামালের মুক্তি, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

গত বুধবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় নছিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধস্তাধস্তি চলাকালে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে রিকশাচালক মামুন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি ও তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। এরপর শুক্রবার দুপুরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন ও তৃতীয় আসামি ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে