ঈশ্বরদীতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩; সময়: ১২:৫১ অপরাহ্ণ |
ঈশ্বরদীতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী : পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের দুই নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন মামলা নেওয়া হচ্ছে না, এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না পুলিশের কর্মকর্তারা।

সোমবার সকালে মোবাইল ফোনে কথা হয় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আকার-ইঙ্গিতে মামলা করে কোনো লাভ হবে না বলে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।’

মারুফ আক্ষেপ করে বলেন, ‘এজাহারে অভিযুক্তদের নাম বাদ দিয়ে অজ্ঞাতনামা লেখার পর থানায় এজাহার রেখে আসতে বলেছেন। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে থানা থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’

মুলাডুলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি মালিথা জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দশজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে এজাহার জমা দেন। সে অনুযায়ী এখন ব্যবস্থা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’

এজাহার ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান শেষে মিছিল নিয়ে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সমবেত হই দলের নেতাকর্মীরা। ঠিক এই সময় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান ও মুলাডুলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি মালিথার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে তহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেক মালিথার ছেলে মিজান মালিথাসহ আরও অনেকে এই ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন।

এদিকে কেন মামলা নেওয়া হচ্ছে না, এ ব্যাপারে জানতে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ও ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও রোববার বিকেল পর্যন্ত জবাবও দেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে