নন্দীগ্রামে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তারসহ ২টি গরু উদ্ধার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩; সময়: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ |
নন্দীগ্রামে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তারসহ ২টি গরু উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম : বগুড়ার নন্দীগ্রামে আন্তঃজেলা গরু চোর দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তারসহ ২টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার শহরকুড়ি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৬), কামুল্যা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৭), শিবগঞ্জ উপজেলার আলাদীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে তারাজুল ইসলাম (৪৫) ও রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার কাছুপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আজাদ (৪৫)।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন প্রেস কনফারেন্সে বলেন, গত ১৮/০৬/২০২২ তারিখ নন্দীগ্রাম থানাধীন তেঘর গ্রামের জনৈক শিহাব আলীর বাড়ী থেকে মোট ৪টি গরু চুরি হয়। উক্ত ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানার মামলা নং-১৫, তারিখ-২০/০৭/২০২২ ইং, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রজু করে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

নিবির ও প্রযুক্তি নির্ভর তদন্ত চলাকালে আমরা নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যদের সন্ধান পাই। উক্ত বিষয়ে গত ৬ মাস যাবৎ পুরা চোর চক্র সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক আন্তরিকভাবে সচেষ্ট থাকিয়ে এসআই (নিঃ) খাইরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম তৎপর থাকে। প্রতিনিয়ত মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের অবস্থান সনাক্তের চেষ্টা করা হয়।

ইহাতে দেখা যায় যে, আসামিদের অবস্থান যে দিন যে এলাকায় থাকে সেই এলাকাতেই গরু চুরির ঘটনা ঘটে। যাতে প্রমাণিত হয় যে, বগুড়া জেলাসহ আশপাশের এলাকায় মূলত এই চক্রটি বেশিরভাগ গরু চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে । শীত বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় বগুড়া জেলা তথা নন্দীগ্রাম থানা এলাকায় গরু চুরির মাত্রা বেড়ে যায়। উক্ত গরু চুরি রোধকল্পে চোর সনাক্ত পূর্বক গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের উক্ত চৌকশ টিম ঢাকার আশুলিয়ায় একটি সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সরদার আব্দুল মজিদ ও চোরাই গরুর ক্রেতা কসাই আব্দুল আজাদকে গ্রেপ্তার করে এনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত চোর চক্রের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন সদস্যের নাম পাওয়া যায়।

যারা অভিনব কৌশলে একাধিক কাভার্ড ভ্যানে বগুড়া জেলাসহ আশপাশের জেলায় গত ৪/৫ বছর যাবৎ ৫০/৬০টি গরু সঙ্গবদ্ধভাবে চুরি করে আশুলিয়ার জিরানিতে গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করে থাকে। আসামীদের চুরি করা গরু গুলোর মধ্যে থেকে ২টি গরু বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি তালা টাকা মেশিন ও রশি গাবতলী থানা এলাকা থেকে জব্দ করা হয়।

সেইসাথে একাধিক গরু চোরের লিডার সনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। একাধিক সনাক্তকৃত গরু চোরদের অর্গানাইজার/সমন্বয়কারী হিসাবে কাজ করতো আব্দুল মজিদ। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে