আপনার সন্তান কি কথায় কথায় রেগে যাচ্ছে?

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩; সময়: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ |
আপনার সন্তান কি কথায় কথায় রেগে যাচ্ছে?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সুস্বাস্থ্যের জন্য সবার আগে প্রয়োজন মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা। কিন্তু দুশ্চিন্তার সমস্যা এমন একটি সমস্যা, যা দৈনন্দিন জীবনে আমাদের মানসিক ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে। দুশ্চিন্তা শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদেরই হয় না, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা দেখা দিতে পারে। তবে এর মধ্যে বাচ্চাদের মাঝে কাজ করা বিভিন্ন রকমের দুশ্চিন্তা বুঝে ওঠা বেশ কঠিন। কারণ আমাদের মতো তারা তাদের অনুভূতি বা সমস্যাগুলো কারো সাথে ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারে না।

বাচ্চাদের মধ্যে দুশ্চিন্তার করার সমস্যা সাধারণত সবাই উপেক্ষা করে যায়। কিন্তু এতে তাদের ওপর আরো বেশি চাপ পড়ে। তারা মানসিক ও শারীরিক দুইদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সময় থাকতে প্রত্যেক অভিভাবকদেরই সন্তানের প্রতি সতর্ক হতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সে লক্ষণগুলো সম্পর্কে –

মানসিক পরিবর্তন-

আপনার সন্তানের মধ্যে মানসিক পরিবর্তনকে কখনোই উপেক্ষা করবেন না। আচরণের কোনো পরিবর্তন দেখলেই সতর্ক হোন। চুপচাপ থাকা, কথায় কথায় বিরক্তি, রেগে যাওয়া, ঘন ঘন মুড স্যুইং, কোনো কাজে বা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা এবং অস্থিরতা লক্ষ্য করলে তার সঙ্গে খোলাখুলিভাবে কথা বলুন। তাকে সাপোর্ট করুন।

শারীরিক উপসর্গ-

দুশ্চিন্তার কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে

– মাইগ্রেন এবং ঘন ঘন মাথা ব্যথা
-গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা
-শারীরিক ব্যথা, যন্ত্রণা
-ভীষণ ক্লান্তি
-কোনো কারণ ছাড়াই অসুস্থবোধ করা
-খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

সামাজিক জীবনে কম জাড়ানো-

দুশ্চিন্তা দৈনন্দিন জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। এর কারণে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে। যা সামাজিক জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে। এর কিছু উপসর্গ হল –

-কারো সঙ্গে কথাবার্তা বেশি না বলা
-খেলাধুলা, আড্ডা থেকে দূরে থাকা
-একা একা বেশি সময় কাটানো
-সবার থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকা

ঘুমের সমস্যা- 

দুশ্চিন্তার কারণে ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ঘুমাতে অসুবিধা, ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন, পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও ভীষণ ক্লান্তবোধ করা। আপনার বাচ্চার মধ্যে এসব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন।

কীভাবে আপনার সন্তানকে সাপোর্ট করবেন? বাচ্চাকে বিভিন্ন দুশ্চিন্তার সমস্যা থেকে বের করে আনতে হলে অভিভাবকদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্তানের দিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে। সন্তানের অনুভূতি, আবেগকে কখনোই উপেক্ষা করবেন না। আপনি আপনার বাচ্চার কাছ থেকে তার সমস্যাগুলো জানতে চান। সে সম্পর্কে তার সঙ্গে আলোচনা করুন। খোলাখুলিভাবে কথা বলুন। তার মনের কথা জানার চেষ্টা করুন এবং তার সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশুন। তাকে তার সব সমস্যা কাটিয়ে ওঠতে সাহায্য করুন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে