নারী কেলেঙ্কারি মামলায় পুঠিয়ার মেয়র মামুন আবারো জেলে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩; সময়: ৫:২৩ অপরাহ্ণ |
নারী কেলেঙ্কারি মামলায় পুঠিয়ার মেয়র মামুন আবারো জেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়ায় নারী কেলেঙ্কারি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে পৌরসভার সদ্য বরখাস্তকৃত মেয়র ও বিএনপি নেতা আল মামুন খানকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত-২ এর বিচারক হাসানুজ্জামান রিপন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, সদর এলাকার এক কলেজছাত্রীকে পৌরসভায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। পরে ওই ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে মেয়রের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর মেয়র পলাতক থাকেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ৭ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলার একটি স্থান থেকে মেয়র মামুনকে গ্রেফতার করে। এরপর তিনি থানার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, অভিযুক্ত আল মামুনের জামিনের মেয়াদ গত ডিসেম্বরের শুরুতেই শেষ হয়। এরপর তিনি যথাসময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি আদেশ দেন আদালত। এরপর সোমবার আদালতে হাজির করে তার পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকেই তার সহযোগীদের দিয়ে আমার ও আমার বাবা-মায়ের নামে ৮টি মামলা দায়ের করিয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা করা হবে বলে মেয়রের সহযোগীরা প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমি মেয়রের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে সেই সময় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। সম্প্রতি স্বাস্থ্য পরীক্ষার ওই প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

ওসি বলেন, হাসপাতালের প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। সেই মোতাবেক থানা থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালে দুর্গাপুর উপজেলার এক হাসপাতালের সেবিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন ওই আসামি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ভুক্তভোগী মেয়রকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার তদবিরে বিষয়টি রফাদফা করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে