আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নগর আ.লীগের বিশেষ সভা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩; সময়: ৭:৪২ অপরাহ্ণ |
আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নগর আ.লীগের বিশেষ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র জনসভা সফল করার লক্ষ্যে নগর আ.লীগের প্রস্তুুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার রাত ৭টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে রাজশাহী মহানগর আ.লীগের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিনত করা হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৃণমূলের দল। তাই তৃণমূলের মানুষেরাই এই জনসভার মূল চালিকা শক্তি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯ বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে মহান সৃষ্টিকর্তার অসীম করুনায় ফিরে এসে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন, তা আমাদের কল্পনাতীত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ফেসবুক পোস্টে পাকিস্তানীরা আফসোস করে বলেছেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু হয়েছে, এছাড়াও পাকিস্তানের চেয়ে সকল সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তারা বিস্মিত হয়েছে, কিভাবে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়? কেনই বা পাকিস্তান বাংলাদেশের মতো হয় না!

তিনি আরো বলেন, সেই উন্নয়নে জাদুকর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে জনসভা করার আশা ব্যক্ত করেছেন। রাজশাহীবাসীর সৌভাগ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে তাঁর মূল্যবান বক্তব্য পেশ করবেন। রাজশাহী মহানগরের সকল স্তরের নেতাকর্মীদেরকে এই জনসভা উপলক্ষ্যে আজ থেকেই নিজ নিজ এলাকায় স্বরব ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা গত ০৩ ডিসেম্বর মাদ্রাসা ময়দানে যে জনসভা করতে চেয়েছিলেন কার্যতঃ তা ব্যর্থতায় পরিনত হয়েছে। তাদের ডাকে সাধারণ জনগণ সাড়া দেয়নি। নেতাকর্মী নিয়ে মাদ্রাসা মাঠে তিনদিন ব্যাপী রান্নাবান্না করে খেয়ে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। জনগণ তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছে। বাংলার মাটিতে আর কোনদিনও এই অপশক্তিকে রাজনীতি করার কোন সুযোগ দিবে না।

অপরদিকে, সভার সিদ্ধান্ত সমূহ মধ্যে, রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র জনসভা সফল করার লক্ষ্যে আগামী ০৫ জানুয়ারি বৃহষ্পতিবার বিকাল ৪টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগরের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১১ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সকাল ১০টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০.৩০টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মাহ্ফুজুল আলম লোটন, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, মোকাদ্দেস হোসেন লাবলু, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, হাবিবুর রহমান বাবু, শাহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, তোজাম্মেল হক বাবলু, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, কে এম জুয়েল জামান, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমত উল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে