বিশ্বকাপ ফাইনালের যত রেকর্ড অবাক করবে আপনাকে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২২; সময়: ১:৫২ অপরাহ্ণ |
খবর > খেলা
বিশ্বকাপ ফাইনালের যত রেকর্ড অবাক করবে আপনাকে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পর্দা নামার অপেক্ষায় ২০ নভেম্বর থেকে কাতারে শুরু হওয়া ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসর। রাত পোহালেই জানা যাবে কার হাতে উঠছে এবারের শিরোপা। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সের ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণের লড়াইটা শুরু হবে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে এশিয়ার পরাশক্তি সৌদি আরবের কাছে হেরে আসর শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা পাঁচ জয়ে আলবেসেলিস্তারা এখন বিশ্বকাপ মঞ্চের ফাইনালে। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার কাছে হেরে যায় দিদিয়ে দেশমের দল। এরপর দুর্দান্ত খেলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলার এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে আছে দলটি।

হাড্ডাহাড্ডি এই লড়াইয়ের আগে দেখে নেওয়া যাক বিগত বিশ্বকাপগুলোর ফাইনাল ম্যাচের কিছু অজানা রেকর্ড ও পরিসংখ্যান।

ফাইনালে গোল হজম না করার রেকর্ড-

বিশ্বকাপের ফাইনালে একটি গোলও হজম না করার রেকর্ড গড়তে সময় লাগে ৬০ বছর। ১৯৯০ সালে যে কীর্তি গড়ে পশ্চিম জার্মানি। ইতালির অলিম্পিকোর ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে সেবার নিজেদের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলে জার্মানি। জার্মানির এই অনন্য অর্জনের কারিগর ছিলেন ২৩ বছর বয়সী ইলিগনার। ফাইনাল খেলা সবচেয়ে কম বয়সী গোলরক্ষকের রেকর্ড এখনও তার নামের পাশে রয়েছে।

দ্রুততম গোল-

বিশ্বকাপের ফাইনালে সবচেয়ে দ্রুততম গোলের রেকর্ড ডাচ ফুটবলার নিশকেন্সের। ১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে নেওয়া শটে ৮৮ সেকেন্ডে জালের দেখা পান তিনি।

তিন ফাইনাল খেলা একমাত্র ফুটবলার-

বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনটি ফাইনাল খেলা একমাত্র ফুটবলার ব্রাজিলের কাফু। ইতালির বিপক্ষে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ আসরে চোট পাওয়া জর্জিনিয়োর বদলি হিসেবে প্রথমার্ধে মাঠে নেমেছিলেন ‘দা এক্সপ্রেস ট্রেন’ খ্যাত এই রাইট-ব্যাক।

এরপর ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেন কাফু। সবশেষ ২০০২ সালে তার নেতৃত্বাধীন দলই ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে নিজেদের পঞ্চম শিরোপা ঘরে তোলে।

দুই দেশের হয়ে ফাইনাল খেলা-

দুইটি ভিন্ন দেশের হয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা একমাত্র ফুটবলার লুইস মন্তি। ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছিলেন এই মিডফিল্ডার। এরপর ১৯৩৪ সালের ফাইনালে ইতালির হয়ে চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মন্তি। সেবার তার দল শিরোপা জিতেছিল।

ফাইনালে একমাত্র হ্যাট্রিক-

১৯৬৬ সালের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছিল ইংলিশরা। দলটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন জিওফ হার্স্ট। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এখন পর্যন্ত তিন গোল করা একমাত্র ফুটবলার হার্স্ট।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে